পিঠে ঘা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার।
পিঠে ঘা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। হাত-পা ও পিঠের ব্যথায় কাতর তিনি। অন্যের সহযোগিতা ছাড়া বিছানা থেকে উঠে বসতে বা কিছু খেতে পারেন না। ঠাণ্ডার কারণে সন্ধ্যা থেকে রাতের বেশির ভাগ সময় শ্বাসকষ্টে ভোগেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রায় দুই বছর ধরে কারাবন্দি খালেদা জিয়া গত বছরের এপ্রিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সম্প্রতি পরিবারের সদস্যরাও দেখা করে এসে জানিয়েছেন, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।
মুক্তি পেলে বিদেশে নিয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করাতে চান বলেও পরিবারের সদস্যরা একাধিকবার জানান। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়াকে সবধরনের চিকিৎসাই দেয়া হচ্ছে।
পরিবার এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, খালেদা জিয়ার বাম হাত সম্পূর্ণ বেঁকে গেছে। ডান হাত সামান্য নড়াচড়া করতে পারেন। বাথরুমে যেতে তার একাধিক ব্যক্তির সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। সারাদিন শুয়ে থাকেন। প্রয়োজন ছাড়া কারো সঙ্গে খুব একটা কথা বলেন না। রুমে টেলিভিশন সংযোগ থাকলেও সেটি নিজ থেকেই তিনি বিচ্ছিন্ন করিয়েছেন। নির্দিষ্ট সংখ্যক সংবাদপত্র দেয়া হয় তার রুমে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রতিদিন দুপুর দেড়টা থেকে আড়াইটার মধ্যে বেগম জিয়ার চেকআপ করতে আসেন। চিকিৎসকদের সঙ্গে প্রয়োজন ছাড়া কথা বলেন না সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারায় আবেদন করা হতে পারে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, ক্রিমিনাল কেসের ওপর সরকারের একটি বিশেষ পাওয়ার দেয়া আছে। সরকার চাইলে কারও সাজা স্থগিত করে মুক্তি দিতে পারে। একজন আসামি যখন অসুস্থ হয়ে যায়, অন্য কোনো পথ থাকে না তখন মুক্তির জন্য এ ধারায় আবেদন করতে পারে। বেগম জিয়া বর্তমানে অত্যন্ত অসুস্থ। তাকে ইচ্ছা করলে সরকার সাজা স্থগিত করে জামিন দিতে পারেন। এক্ষেত্রে ৪০১(১) ধারায় সরকার নিজেও তাকে মুক্তি দিতে পারে অথবা খালেদা জিয়াও আবেদন করতে পারেন। এই ধারা সম্পর্কে ইতোমধ্যে সরকারকে আমরা বলেছি। এর আগে খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলামও খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসায় বিশেষ আবেদন করার চিন্তাভাবনা করছেন বলে জানিয়েছিলেন।