বেশি ঘামলে কি বেশি পানি পান করা উচিত?
গরমে এখন কমবেশি সবারই দিশেহারা অবস্থা। গরমে অনবরত ঘামের কারণে রাস্তায় বের হলে এ সময় জামা যেন পুরো ঘামে ভিজে যায়। কারও অল্প ঘাম হয়, কারও বেশি।
তবে যাদের বেশি ঘাম হয়, তাদের নানা সমস্য়ায় পড়তে হয়। এমনকি গরমের কারণে তাদের নানা রোগ হওয়ার ঝুঁকিও বেশি থাকে। কারণ তাদের শরীর থেকে দ্রুত পানি বেরিয়ে যায়। কিন্তু বেশি ঘামলে কি বেশি পানি পান করা উচিত?
ঘামের সময় শরীর থেকে শুধু পানি বের হয় না, তার সঙ্গে বেরিয়ে যায় জরুরি কিছু ইলেক্ট্রোলাইট। এই ইলেক্ট্রোলাইটের পরিমাণ দেহে কমে গেলে হিট স্ট্রোক, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে।
এর থেকে রেহাই পেতে পানি খাওয়া জরুরি। কিন্তু পানি পান করার কিছু নিয়ম-কানুন আছে। চলুন তা জেনে নেওয়া যাক-
শারীরিক পরিশ্রম করতে করতে পানি পান করা মোটেই ভালো নয়। এতে শরীর আরও খারাপ এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। রোদে দাঁড়িয়ে পানি না পান করে কোথাও বসে পানি পান করা ভালো।
কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর বেশ কিছুটা পানি খাওয়া যেতে পারে। শরীরের ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে পানির মধ্যে লবণ ও চিনি মিশিয়ে নিতে পারেন।
আপনার কতটা ঘাম হচ্ছে, তা মাপা সহজ। ধাপে ধাপে এভাবে মেপে নিন আপনার ঘামের হার । যাকে সোয়েট রেটও বলা হয়।
বাইরে বের হওয়ার আগে বা শারীরিক পরিশ্রম করার আগে প্রস্রাব করুন। এতে মূত্রথলি ফাঁকা হয়ে যায়। এবার নিজের ওজন মেপে নিন। এবার কাজের সময় কতটা পানি পান করছেন তার হিসাব রাখুন, কতটা প্রস্রাব করলেন তারও হিসেব রাখা জরুরি।
এবার একই জামাকাপড় পরে ওজন মেপে নিন। প্রথম ওজন থেকে দ্বিতীয় বাদ দিতে হবে। এর পর যতটা পানি পান করেছেন সেটি যোগ করুন।
এরপর কতটা প্রস্রাব করেছেন তা বিয়োগ করে দিন। এরপর প্রাপ্ত ফলকে ঘণ্টা দিয়ে ভাগ করলে বেরিয়ে যাবে প্রতি ঘণ্টায় আপনার ঘামের হার।
সূত্র: এবিপি লাইভ