‘ভালো কাজ’ দেওয়ার কথা বলে ২ মাস আটকে রেখে তরুণীকে ধর্ষণ
কাজ দেওয়ার প্রলোভনে প্রায় দুইমাস আটকে রেখে ধর্ষনের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
শনিবার এ ঘটনায় এক নারীসহ তিনজনের নামোল্লেখ করে থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার ওসি মঈন উদ্দিন সিপন।
নির্যাতিত ওই তরুণীর সিলেট মহানগরীর ঘাসিটুলার বাসিন্দা। নির্যাতিত তরুণীর মা বাদি হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- নগরীর লালদিঘীরপাড় ৩৬ নম্বর বাসার আবদুস সালাম (৪০), লালদিঘীরপাড় ২৭ নম্বর বাসার আবদুল মনাফ (৩৮) ও ঘাসিটুলা মতিন মিয়ার কলোনির রেখা বেগম (৩০)।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, নির্যাতিতা ওই তরুণী নগরীর শেখঘাটের একটি বোতল ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো। পরিবারের সদস্যরা ওই তরুণীকে সিলেট শহরের বাসায় রেখে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যান। এই সুযোগে একই কলোনির বাসিন্দা রেখা বেগম লালদিঘীরপাড়ের আবদুস সালামের সাথে তরুণীকে পরিচয় করিয়ে দেয়। আবদুস সালাম ‘ভালো কাজ’ দেওয়ার প্রলোভন দেখায় তরুণীকে।
গত ৭ জানুয়ারি রেখা বেগম ‘ভালো কাজের’ কথা বলে তরুণীটিকে আবদুস সালামের লালদিঘীরপাড়স্থ বাসায় নিয়ে যায়। পরে বাসার একটি রুমে ২২ দিন আটকে রেখে আবদুস সালাম তাকে ধর্ষণ করে। পরিবারের সদস্যরা সিলেট নগরীস্থ বাসায় ফিরে তরুণীকে না পেয়ে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ নেন। কিন্তু কোথাও না পেয়ে থানায় জিডি করতে চাইলে রেখা বেগম বাধা দিয়ে তাদের আবদুস সালামের কাছে নিয়ে যায়। আবদুস সালাম তরুণীকে উদ্ধারের ব্যাপারে আশ্বাস দেয়।
কয়েকদিন পর পরিবারের সদস্যরা আবারও আবদুস সালামের কাছে গেলে সে জানায় লন্ডন প্রবাসী একটি পরিবারের কাছ থেকে তরুণীটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। ওই সময় লন্ডন প্রবাসী পরিবারের পরিচয় জানতে চাইলে আবদুস সালাম ক্ষেপে যায়।
কিন্তু নির্যাতিতা তরুণী আবদুস সালাম কর্তৃক ধর্ষিত হওয়ার ঘটনা খুলে বললে সে প্রাণনাশের হুমকি ও তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
এ ঘটনার ৩ দিন পর আবদুস সালাম বিয়ের কথা বলে ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে যায়। পরে মামলার আসামি আবদুল মনাফের মাধ্যমে তাকে হবিগঞ্জে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে আটকে রেখে তাকে আবদুস সালাম ও আবদুল মনাফসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন ধর্ষণ করে। সেখান থেকে গত ২৬ মার্চ এক আত্মীয়ের মাধ্যমে কৌশলে তরুণীকে উদ্ধার করে আনা হয়।