আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে তুরাগ থানায় ধর্ষণ মামলা
টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে রাজধানীর তুরাগ থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী নারী।
শনিবার (৩০ মার্চ) মামলাটি দায়ের হয়েছে।
জানা গেছে, বড় মনি টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তিনি টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড় ভাই।
এদিকে, ভুক্তভোগী নারী এজাহারে অভিযোগ করে বলেন, তার স্বামী দুবাই প্রবাসী। সেই সুবাদে তিনি তার বাবার সঙ্গে দক্ষিণখান এলাকায় বসবাস করেন। গত দুই মাস আগে গোলাম কিবরিয়া বড় মনির সঙ্গে তার ফেসবুকে যোগাযোগ হয়। পরিচয়ে সুবাদে ভুক্তভোগীকে বড় মনি বোন বলে ডাকতো। এরপর থেকে ভুক্তভোগী ও বড় মনির সঙ্গে নিয়মিত
ফোনা কথা হতো। কথা বার্তার এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী বড় মনি জানায় তার বাড়ি টাঙ্গাইলে।
গত ২৮ মার্চ বড় মনি রাত ১০ টায় উত্তরা হাউজ বিল্ডিং মাসকট প্লাজার পিছনে এসে ভুক্তভোগীকে ফোন দেয় বড় মনির। ফোন দিয়ে বড় মনি বলে, ‘আপু আমি তো ঢাকায় এসেছি’? তুমি কি আমার সঙ্গে একটু দেখা করতে পারবা? আমি সকালে টাঙ্গাইল চলে যাবো। পরে ভুক্তভোগী মাসকট প্লাজার পিছনে এসে বড় মনির সঙ্গে দেখা করে। পরে বড় মনি তার হাইচ গাড়িতে ভুক্তভোগীকে উঠায়। পরে তার সঙ্গে কথা বার্তা শেষে ভুক্তভোগীকে তার বাসার সামনে নামিয়ে দেয় বড় মনি।
ভুক্তভোগী এজাহারে আরও অভিযোগ করে বলেন, গত ২৯ মার্চ বিকেলে উত্তরা জমজম টাওয়ারের সামনে থাকতে ভুক্তভোগীকে ফোন দিয়ে বলে বড় মনি। সেই অনুযায়ী ভুক্তভোগী সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে জমজম টাওয়ারের সামনে আসেন। এর ঠিক ১০-১৫ মিনিট পরে বড় মনি রিকশায় চড়ে আসেন এবং ভুক্তভোগী রিকশায় উঠান। পরে বড় মনি ভুক্তভোগীকে তুরাগ থানাধীম প্রিয়াংকার্সিটি নামে একটি ভবনের তৃতীয় তলা নিয়ে যায়। সেখানে বড় মনি ভিকটিমকে ধর্ষণ করে।