আ.লীগ দেশের জনগণের নয়, চীন, ভারত ও রাশিয়ার সরকার: গয়েশ্বর

0

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের জনগণের সরকার নয়। তারা চীন, ভারত ও রাশিয়ার সরকার। এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করতেই হবে। এই সরকারকে আমরা মানতে বাধ্য নই। এটা আমাদের ভোটের লড়াই, গণতন্ত্রের লড়াই এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই। সুতরাং প্রতিরোধের আগেই মানে মানে কেটে পড়ুন।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কালো পতাকা মিছিলের আগে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে চাই। আজকে জিনিসপত্রের দাম অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের মানুষ দিশেহারা। ঘরে ঘরে অভাব। দিনমজুর মানুষ আগের মতো পেট ভরে দু’বেলা খেতে পারে না।

তিনি বলেন, দেশটাকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে। আর তারা নাকি সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য নির্বাচন করেছে। আসলে এই ধারাবাহিকতা তাদের লুটপাট ও মহাদুর্নীতির কারণে। ১০ লাখ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। যারা পাচার করেছেন তারা কিন্তু অস্বীকারও করে না। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

গয়েশ্বর বলেন, নির্বাচন ঘোষণা দিয়ে গণভবনে ঘন ঘন বৈঠক করেছে। তৃণমূল দল করল। কিন্তু সেটাও ছাগলে খেয়ে ফেলল। আজকে ৭ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে যায়নি। আবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের আইডি কার্ড নিয়ে নিজেরা নিজেরা ভোট দিয়েছে। সরকারের বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কার্ড নিয়ে জোর করে ভোট দিতে বাধ্য করেছে। কিন্তু ভোট কেন্দ্রে শিয়াল-কুকুর ছাড়া কিছুই খুঁজে পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, সেদিন একজন বিজিবি সদস্যকে হত্যা করেছে। কেন কিসের অধিকারে তারা এটা করছে? কেনো প্রতিবাদও নেই। আজেকে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন। কারণ, অন্য কেউ যখন দেশের সিদ্ধান্ত নেয়, তখন তো আমার সার্বভৌমত্ব থাকে না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে শেখ হাসিনা ৭ পার্সেন্ট ভোটের মালিক। আর বাকি ৯৩ শতাংশ মানুষের নেতা তারেক রহমান। সরকারের মানসম্মান ও লাজ্জা থাকলে জনগণের ভোটাধিকার ফেরত দেন। দেখেন ১ শতাংশ ভোট পান কি না?

তিনি আরও বলেন, আমাদের বিজয় হবেই, ইনশাআল্লাহ। আমাদের নেতা তারেক রহমান, যিনি গত ৭ জানুয়ারি দেশের ১৮ কোটি মানুষের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী ৩০ জানুয়ারি অবৈধ সংসদের প্রথম অধিবেশনের দিন রাজপথে আবারও কালো পতাকা মিছিল হবে।

এ সময় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘সমকামী‘ নির্বাচন বলে অভিহিত করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি, সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও অবৈধ সংসদ বাতিলসহ এক দফা দাবি আদায়ে কালো পতাকা মিছিল আয়োজন করে বিএনপি। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটাই বিএনপির বড় কর্মসূচি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com