সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলা নির্মম দৃষ্টান্ত এবং সংবিধান স্বীকৃত নাগরিক অধিকারের পরিপন্থী
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিক ও আইনজীবীদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ৪৬ বিশিষ্ট নাগরিক। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ছাত্র অধিকার পরিষদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের মতো দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময়ে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলা নির্মম দৃষ্টান্ত এবং সংবিধান স্বীকৃত নাগরিক অধিকারের পরিপন্থী। আদালত নাগরিকের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল। সাংবিধানিক এই প্রাঙ্গণ পবিত্র। সেখানে হামলার ঘটনা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির পরিচায়ক। ক্রমাগত জনমনে রাষ্ট্রের প্রতি ভীতি সঞ্চারিত হয়ে রাষ্ট্র দুর্বল হচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেখানে রাষ্ট্রের নাগরিকদের জান-মালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে সেখানে উল্টো তাদের দ্বারা হামলা, লাঠিচার্জ, নির্যাতনের ঘটনা মৌলিক মানবাধিকার খর্ব করে। তাই হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দোষীদের বিচারের আওতায় এনে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে এবং নির্বাচন বিতর্কমুক্ত রাখতে পারস্পরিক সহনশীলতা এবং যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানাই।
বিবৃতিতে সই করেন অধ্যাপক আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, সাবেক উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ফরহাদ মজহার লেখক অধ্যাপক, অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ। অধ্যাপক এম রফিকুল ইসলাম, সাবেক উপাচার্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম, সাবেক উপাচার্য পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সিনিয়র আইনজীবী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী। অধ্যাপক আসিফ নজরুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সাকিব আলি, সাবেক কূটনীতিক ও সমন্বয়ক-পিপলস একটিভিস্ট কোয়ালিশন। সৈয়দ আবদাল আহমদ, লেখক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাতীয় প্রেস ক্লাব।
সাংবাদিক ইলিয়াস খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাতীয় প্রেস ক্লাব। অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, আইনজীবী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। অ্যাডভোকেট মোহসিন রশীদ, আইনজীবী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, আইনজীবী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ফিরোজ আহমেদ লেখক ও রাজনীতিক।
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট ও রাজনীতিক। ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, আইনজীবী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ব্যারিস্টার জিশান মহসিন, সমন্বয়ক, আইনজীবী অধিকার পরিষদ। ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, আইনজীবী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। অধ্যাপক ড. ময়েজুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। জাহেদ আরমান, প্রতিষ্ঠাতা বিডি ফ্যাক্টচেক। প্রকৌশলী ম ইনামুল হক, চেয়ারম্যান ইন্সটিটিউট অব ওয়াটার এড এনভায়রনমেন্ট।
কবি আবদুল হাই শিকদার। অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দিন, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর কবির, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ, আরবী বিভাগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমেদ, সাবেক শিক্ষক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রফেসর ড. আবদুল মাবুদ, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এম আব্দুল্লাহ, সভাপতি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন। মাহাবুব মোর্শেদ, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক। ড. মারুফ মল্লিক, লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, প্রকৌশলী ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক লেখক। মোশাহিদা সুলতানা ঋতু, লেখক ও সহযোগী অধ্যাপক, এআইএস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ব্যারিস্টার যুবায়ের আহমেদ ভূইয়া, আইনজীবী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।
রাখাল রাহা, লেখক ও সম্পাদক। অধ্যাপক মাহবুব হোসেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। জাফর মাহমুদ আহবায়ক, পেশাজীবী অধিকার পরিষদ, সালাহ উদ্দিন শুভ্র কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক, জাকারিয়া পলাশ লেখক ও গবেষক, ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি নারী সংগঠক ও মানবাধিকার কর্মী, এহসান মাহমুদ কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন আহ্বায়ক নাগরিক পরিষদ, শওকত হোসেন কবি ও লেখক, মাহা মির্জা গবেষক ও এক্টিভিস্ট।
এর আগে বুধবার (১৫ মার্চ) সকালে বার অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশের হামলার শিকার হন সাংবাদিকরা। পুলিশ তাদের কিল, ঘুসি ও লাথি মেরে আহত করেন। বেশ কয়েকজন আইনজীবীও পুলিশের মারধরের শিকার হন।