নোবেল শান্তি পুরস্কারে নাম শোনা যাচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
নোবেল শান্তি পুরস্কারে নাম শোনা যাচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) নরওয়ের নোবেল প্রাইজ কমিটির ডেপুটি নেতা অ্যাসলে তোজে এমনটাই জানিয়েছেন।
এই মুহূর্তে ভারতেই রয়েছে নরওয়ের নোবেল পুরস্কার কমিটির এক প্রতিনিধিদল। সেখানে এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন নোবেল প্রাইজ কমিটির এই ডেপুটি নেতা।
তোজে বলেছেন, মোদির প্রশংসনীয় নীতিতেই ভর করে ভারত শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হয়েছে। মোদি এমন একজন বিশ্বস্ত মুখ, যিনি দুটি দেশের মধ্যে যুদ্ধ থামিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। মোদি যদি নোবেল পান, তাহলে সেটা একজন যোগ্য নেতাকে প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হবে।
এ খবরে অনেকটাই উদ্বেলিত ভারতীয়রা। কারণ, এর আগেও ভারত থেকে একাধিকবার মোদিকে নোবেল দেওয়ার দাবি উঠেছিল। তবে তা শীর্ষপর্যায়ে তেমন গুরুত্ব পায়নি।
কিন্তু এবার খোদ নোবেল কমিটি যেভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ, তাতে মোদির নোবেলপ্রাপ্তির সমূহ সম্ভাবনা দেখছেন অনেক ভারতীয়।
নোবেল কমিটির প্রতিনিধি তোজে অবশ্য জানিয়েছেন, মোদির সম্পর্কে তার এই মতামত একান্ত ব্যক্তিগত এবং তিনি ব্যক্তিগতভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বড় অনুরাগী।
তিনি আরও বলেছেন, বিশ্বের প্রত্যেকটি নেতারই উচিত শান্তি স্থাপনের জন্য় কাজ করা। মোদির মতো শক্তিধর নেতার আরও অনেক কিছু করার ক্ষমতা রয়েছে। বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যে যুদ্ধ হচ্ছে, তা থামানোর প্রচেষ্টাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন মোদি ও ভারত।
অ্যাসলে তোজে জানিয়েছেন, ভারত থেকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য অনেক মনোনয়ন জমা পড়েছে। তবে নোবেল প্রাপকদের দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার পরে সে রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভিসার আবেদন খারিজ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনের মতো দেশ। আন্তর্জাতিক মঞ্চে মোতির বিরুদ্ধে অশান্তিতে উসকানি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। তবে আইনি লড়াইয়ে দাঙ্গার বিষয়ে আগেই ক্লিনচিট পেয়েছেন মোদি। এবার শান্তিতে নোবেল পেলে পূর্ণ হবে কি সেই বৃত্ত? এখন এটাই প্রশ্ন।
তবে শেষমেশ যদি সত্যিই প্রধানমন্ত্রী মোদী নোবেল পান তাহলে তা হবে মোদীর রাজনৈতিক কেরিয়ারে বিরাট একটা মাইলফলক। শান্তিতে নোবেল পেলে বিরোধীদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবেন মোদি – এমনটাই বলছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা।
তবে যদি শেষমেষ মোদি নোবেল নাও পান, তাও নোবেল কমিটির এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিজেপি (ভারতীয় জনতা পার্টি) সর্মথকরা। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের হাতিয়ার করতে পারে মোদির দলের নেতাকর্মীরা।