ভারতে ‘কথিত অনুপ্রবেশ’ মামলায় সালাহউদ্দিনের খালাসের খবরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

0

ভারতে ‘কথিত অনুপ্রবেশ’ মামলায় দেশটির আদালত থেকে বেকসুর খালাস পাওয়ার খবরে রাতে কক্সবাজারের পেকুয়ায় মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল করেছে দলীয় নেতাকর্মীরা।

বুধবার (১ মার্চ) বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর আসে, ভারতে অনুপ্রবেশ মামলায় দেশটির একটি আদালত থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। একই আদেশে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে ভারত সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ খবর বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় উল্লাস করতে থাকেন। এরপর তারা আনন্দ মিছিল করে মিষ্টি বিতরণ করেন।

সংবাদটি বিএনপি নেতার নির্বাচনী এলাকা ও জন্মস্থানে পৌছলে বুধবার রাতে দলীয় নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল বের করে। পরে জাতীয়তাবাদী দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পেকুয়া বাজারে পথচারী ও বাজারের সওদাগরসহ সর্বস্তরের লোকজনকে মিষ্টি বিতরণ করেন।

পেকুয়া উপজেলা যুবদল সভাপতি কামরান জাদিদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর পেকুয়ার সন্তান সালাহউদ্দিন আহমদ আইনি কার্যক্রম শেষে মুক্তি পেয়েছেন। দেশে আসতে তার আর বাধা নেই, এমন খবর পেয়ে আমরা আনন্দে আত্মহারা হয়েছি। সেই উল্লাসে পেকুয়ায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছি। আশা করি খুব শিগগিরই প্রিয় নেতাকে বাংলার মাটিতে দেখতে পাবো।’

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ ‘আত্মগোপন’ থাকা অবস্থায় রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী’ পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর দীর্ঘ ৬২ দিন গুম থাকার পর ১১ মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলং শহরের গলফ কোর্স মাঠের পাশে অসুস্থ অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তির সহায়তায় তিনি পুলিশের হেল্প লাইনে ফোন করলে পুলিশ প্রথমে তাকে থানায় ও পরে মিমহামস নামের একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১২ মে বাংলাদেশে বিষয়টি জানাজানি হলে তাকে সেখান থেকে সিভিল হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। সিভিলে সপ্তাহখানেক রাখার পর তার অবস্থার অবনতি হলে শিলং-এর বিশেষায়িত হাসপাতাল নিগ্রিমসে ভর্তি করা তাকে। সুস্থ হওয়ার পর জামিন পেলে শিলং শহরের বিষ্ণপুর সানরাইজ গেস্ট হাউজে অবস্থান করে আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন তিনি। দীর্ঘ চার বছর আইনি লড়াইয়ের পর বেকসুর খালাস পান তিনি। ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হলেও কয়েকদফা সময় পিছিয়ে ওই বছরের ২৬ অক্টোবর আদালতের রায়ে অনুপ্রবেশের দায়ে করা মামলায় নির্দোষ হিসেবে রায় পান তিনি। এ রায়ের পাঁচ মাস পর মেঘালয়ের সরকার পক্ষে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। সর্বশেষ

এ আপিলের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ বছর আইনি লড়াই শেষে আবারো খালাস পান তিনি।
এবার দেশে ফিরতে আর কোনো আইনি বাধা নেই।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com