নিউমোনিয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি?
শীতকালে ঠান্ডা-কাশির সমস্যাকে সাধারণ ফ্লু ভেবে অনেকেই গুরুতর সব সমস্যা অবহেলা করেন। শুধু ফ্লুর কারণেই নয়, কোভিড-১৯ কিংবা ফুসফুসের সংক্রমণেও কিন্তু দেখা দিতে পারে ঠান্ডা-কাশি, জ্বর কিংবা শ্বাসকষ্টের লক্ষণ।
ফুসফুসজনিত অসুখে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। নিউমোনিয়ার পাশাপাশি আছে অ্যাজমা, সিওপিডি এগুলোও কিন্তু বেশ জটিল ফুসফুসের ব্যাধি। বিশেষ করে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর মধ্যে সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টের লক্ষণই বেশি দেখা দেয়।
নিউমোনিয়া হলে ফুসফুসে বায়ুপ্রবাহের নানা জায়গায় তরল ও পুঁজ জমে। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে কফও জমে। যদিও বিভিন্ন কারণে হতে পারে নিউমোনিয়া।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ব্যাকটেরিয়া থেকে শুরু করে ভাইরাস, ফাঙ্গাসের কারণে এই রোগ বেশি করে দেখা যায়।
নিউমোনিয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি?
১. ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে
>> ডায়াবেটিস রোগীদের
>> হাই প্রেশার থাকলে
>> ক্যানসারে আক্রান্ত হলে কিংবা
>> এইচআইভি সংক্রমিতদের মধ্যে নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বেশি।
কী কী লক্ষণ দেখা যায়?
যদিও একেকজনের শরীরে ভিন্ন ভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে পারে নিউমোনিয়ার উপসর্গের। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যে লক্ষণগুলো দেখা দেয় সেগুলো হলো-
>> কাশি
>> শ্বাস নিতে বুকে ব্যথা
>> বিভ্রান্তি
>> কাশির সঙ্গে কফ ওঠা
>> ক্লান্তিতে ভোগা
>> কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা
>> শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়া ও
>> তীব্র শ্বাসকষ্ট।
শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, জ্বর ১০২ ডিগ্রির বেশি, কাশির সঙ্গে পুঁজ বের হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
এছাড়া বয়স ৬৫ এর বেশি হলে ও শিশুর বয়স ২ বছরের নিচে হলে কিংবা ইমিউনিটি দুর্বল, কেমোথেরাপি চললে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
সূত্র: এনএইচএস/মায়োক্লিনিক