পদত্যাগ করুন, নয়তো পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না: সরকারকে ফখরুল

0

কালবিলম্ব না করে সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। হুঁশিয়ারি করে তিনি বলেন, পদত্যাগ করুন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন এবং নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে তার ভোটের অধিকার প্রয়োগ করার ক্ষমতা দিন। অন্যথায় আপনাদের অত্যন্ত ভারাক্রান্তভাবে চলে যেতে হবে, পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না।

গতকাল শনিবার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে চার দিনের কর্মসূচির প্রথম দিনে পদযাত্রা কর্মসূচির উদ্বোধনের আগে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি আরও বলেন, আজকে এক নতুন আন্দোলন শুরু করলাম। তাদের চলমান আন্দোলনে এই নীরব যাত্রার মধ্য দিয়ে। এই নীরব প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে ঢাকা শহরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ভয়াবহ দানবীয় সরকারকে সরে যেতে বাধ্য করব।

ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় পদযাত্রার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, চাল, ডাল, ডিম, তেল ও লবণের দাম বেড়ে গেছে। নিম্নবিত্ত, শ্রমিকরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছে না। তারা চাল, ডাল, তেল ও লবণ কিনতে পারছে না। শুধু তাই নয়, আজকে কথা বলতে গেলে গ্রেপ্তার করা হয়, প্রতিবাদ করতে গেলে মামলা হয়, মিথ্যা মামলা-গায়েবি মামলা দিয়ে সমস্ত বিরোধী দলকে আটক করে রাখা হচ্ছে। সমগ্র দেশকে একটা কারাগারে পরিণত করেছে। এটা কি মেনে নেব?

তিনি আরও বলেন, দেশে কারও ভোটের অধিকার নেই। সেই অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে, কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে, যারা কারাগারে আছেন, তাঁদের মুক্ত করতে হবে, দেশে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনো দিন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। সেই কারণে আওয়ামী লীগ সরকারকে, শেখ হাসিনার সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, এই সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, দেশের জনগণ এখন এই সরকারের অন্যায়-অত্যাচারের প্রতিবাদ করতে শুরু করেছে। বিএনপির ১০ বিভাগীয় সমাবেশে তাদের উপস্থিতি সেটাই প্রমাণ করে। এবার সরকারকে বিদায় নিতে হবে, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। এজন্য রাজপথে নেমেছি, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকব।

পদযাত্রায় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মীর সরাফত আলী সপু, নাজিম উদ্দিন আলম, তাবিথ আউয়াল, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, সাইফুল আলম নিরব, মীর নেওয়াজ আলী, বাবুল আহমেদ, আবদুল আলিম নকি, এজিএম শামসুল হক, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএস জিলানি, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com