উন্নত চিকিৎসার জন্য কারাগারের বাইরে বিশেষায়িত হাসপাতালে রিজভীর চিকিৎসার দাবি
কারাগারে গুরুতর অসুস্থ রুহুল কবির রিজভীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কারাগারের বাইরে বিশেষায়িত কোনো হাসপাতালে চিকিৎসার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
গতকাল মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
কারাগারে রুহুল কবির রিজভী গুরুতর অসুস্থ হওয়ার খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, অবিলম্বে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কারাগারের বাইরে বিশেষায়িত কোনো হাসপাতালে হস্তান্তর করার ও নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় আল্লাহ না করুন, তার কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেলে এর দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে। একই সঙ্গে কারাগারে তার বিষয়ে স্পষ্ট করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠার সঙ্গে জানাচ্ছি যে, কারাবন্দী বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গত দুইদিন ধরে মারাত্মকভাবে অসুস্থ। আমরা জানতে পেরেছি, তিনি বর্তমানে কারা হাসপাতালে দুইদিন ধরে চিকিৎসাধীন এবং কোনো খাবার খেতে পারছেন না। রুহুল কবির রিজভীর স্ত্রী আরজুমান আরা আইভী আমাদেরকে জানিয়েছেন, তিনিও এ বিষয়ে বার বার যোগাযোগ করে কোনো কিছু জানতে পারছেন না।
রিজভী আহমেদ আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন জানিয়ে প্রিন্স বলেন, স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তিনি হরতালে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। সে সময় এবং পরবর্তীতে সড়ক দুর্ঘটনায় তার শরীরে অপারেশন হয়। গত দুই বছরে তিনি হৃদরোগে ও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি বেশ কিছু জটিল রোগে আক্রান্ত।
তিনি আরও বলেন, এরআগেও তিনি কারাগারে বন্দি থাকাবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। কারা হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করানো সম্ভব ছিল না বলেই বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল।
গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনে ভীত হয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বেসামাল আচরণ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষায় কথা বলছেন, যা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত।
তিনি আরও বলেন, স্বয়ং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, শেখ হেলালসহ অন্যান্য নেতারা কুরুচিপূর্ণ ভাষায় শুধু নেতাদের নিয়েই নয়, আন্দোলন নিয়েও ব্যাঙ্গ বিদ্রূপ করছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আন্দোলনের গণজোয়ারে পতনের ভয়ে ভীত হয়ে তারা অরাজনৈতিক আচরণ করছেন। আমরা তাদের প্রতি এ ধরনের অশালীন, অরাজনৈতিক, কুরুচিপূর্ণ ভাষা পরিত্যাগ করে রাজনৈতিক শিষ্টাচার মেনে কথা বলবার আহ্বান জানাচ্ছি।