আমাদের শেষ কথা সরকারের পদত্যাগ: ফখরুল

জাতীয় সংসদকে সরকার একদলীয় ক্লাবে পরিণত করেছেন বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক যতগুলো প্রতিষ্ঠান আছে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান সরকার ধ্বংস করেছে। পার্লামেন্টকে তারা একদলীয় একটা ক্লাবে পরিণত করেছে। ইটস এ ক্লাব অব আওয়ামী লীগ।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ‘রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়। গত ১৯ ডিসেম্বর বিএনপির পক্ষ থেকে রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের গেটওয়ে হচ্ছে নির্বাচনব্যবস্থা। সেই নির্বাচনীব্যবস্থাটা তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষ ভোটই দিতে যায় না। কারণ তারা জানে, ভোট দিয়ে কী হবে? ভোট তো আমার থাকবে না, আমার ভোট তো অন্যরা নিয়ে যাবে। যত কারসাজি করা দরকার সরকার করেছে। কখনো ১৫৪ জনকে অপ্রতিদ্বন্দ্বী ঘোষণা করে দেয়া, কখনো যে তারিখে ভোট তার আগের রাতে ভোট নিয়ে নেয়া এবং সব রাষ্ট্রব্যবস্থাকে তাদের পক্ষে ঘোষণা দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

২৭ দফা রূপরেখাকে বিএনপির স্বপ্ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা নিশ্চয় এটা জনগণের সামনে তুলে ধরব। এটা একটা ড্রিম। ড্রিম ছাড়া কখনো সফল হওয়া যায় না। আমরা স্বপ্ন দেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাবো। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই যে, তিনি সঠিক সময়ে দলকে সাথে নিয়ে এই রূপরেখা জনগণের সামনে উপস্থাপন করেছেন এবং ইতোমধ্যে এটা নিয়ে জনগণের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদকে বলব, এ বিষয়ে ওয়ার্কশপ করুন। বিশেষজ্ঞ, পেশাজীবীদের মতামত নিয়ে আমরা যেন পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব দিতে পারি সে জন্য উদ্যোগ নেবেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রত্যেকটা জিনিসের উত্থান-পতন আছে। যে ঢেউ শুরু হয়েছে উত্তাল তরঙ্গের মতো, সমুদ্রের মতো এই সরকার ভেসে যাবে। কারণ এদের সাথে জনগণ নেই, জনগণ থাকবে না। আমাদের শেষ কথা ভোটের অধিকারকে ফিরিয়ে পাওয়ার জন্য আমরা যে ১০ দফা দিয়েছি সেই ১০ দফার প্রথমেই এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তিনি বলেন, এই সরকার অবৈধ সরকার। সংসদকে বিলুপ্ত করতে হবে। এই সংসদের কোনো মূল্য নেই এবং একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে সেই সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নতুন নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে ইনশাআল্লাহ আমরা জয়ী হবো।