দেশে নির্বাচন ব্যবস্থা ‘ধ্বংস’ হয়েছে বলেই যুক্তরাষ্ট্র কথা বলে: বিএনপি

0

দেশে গণতন্ত্র নেই এবং অতীতের নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু হয়নি বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ মানেই হচ্ছে গণতন্ত্রকে হত্যা করা। সফরকালে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লুও বলেছেন, এ দেশে গণতন্ত্র নেই, অতীতের দুটি নির্বাচন হয়নি। আগামী দিনে সত্যিকারভাবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় তারা। কেন আমেরিকা থেকে এসে এসব বলতে হবে? এ জন্য যে, এ সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের ভোটের ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলেছে।

বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর দেশব্যাপী যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল (১৬ জানুয়ারি) সোমবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মিছিল-পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ ১০ দফা আদায় এবং বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে সারাদেশে মহানগর ও উপজেলায় সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এ কর্মসূচি থেকেই বিএনপি ও সমমনা অন্যান্য রাজনৈতিক জোট ও দল আগামী ২৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’-এ দেশব্যাপী মহানগর ও জেলা সদরে সমাবেশের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সংবিধানে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে ‘একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি। দিনটি বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দুর্নীতিবাজ, গণবিরোধী সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সরকারের সংসদ বাতিল, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দি নেতাকর্মীর মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে এ দিন কর্মসূচি পালন করবে দলটি।

সমাবেশে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা, গণতন্ত্র, অর্থনীতি এবং বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। লুটপাট করে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে; দুবাই, কানাডা, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে। এই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশে আইনের শাসন, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে না। এ অবস্থায় সরকার যতই নির্যাতন করুক, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের বিদায় ঘটানো হবে।

তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে গণশুনানিসহ নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে সরকার প্রশাসনিক হুকুমে বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। আবার বলেছে, মাসে মাসে নাকি বিদ্যুতের দাম তারা সমন্বয় করবে। অর্থাৎ ভবিষ্যতে বিদ্যুতের দাম আরও বাড়বে। এভাবে ১৪ বছর ধরে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে লুট করেছে। ২০০৬ সালে বিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি সর্বোচ্চ দর ছিল ২ টাকা ৬০ পয়সা; এখন তা ১১ টাকার বেশি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com