কোভিড কাশির সমস্যা সারাতে করণীয়-
শীত বাড়তেই সর্দি-কাশির সমস্যায় ভুগছেন কমবেশি সবাই। এরই মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। আবারও বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা।
একই সঙ্গে নতুন নতুন উপসর্গও সামনে আসছে। তাই বিশেষজ্ঞরা এ সময় সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন।
করোনাভাইরাসের সাব ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের উপ ধরন বিএফ.৭ এবার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। এর লক্ষণেও আসছে পরিবর্তন। করোনার শুরুর দিকে শুকনো কাশি ছিল অন্যতম এক উপসর্গ।
জোয়ো কোভিড অ্যাপের তথ্যমতে, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে কাশি তো থাকছেই, পাশাপাশি কফও বের হচ্ছে। এই কফ জমে থাকে আপনার রেসপিরেটরি প্যাসেজে।
তবে কফের রং নিয়ে তেমন কিছু জানা যায়নি, বলা হচ্ছে নানা রঙের হতে পারে কফ। গবেষণায় দেখা গেছে, কাশির সঙ্গে কফ ওঠা ব্যক্তিদের প্রায় ৪৫ শতাংশ কোভিডে আক্রান্ত।
শুধু করোনা নয় কাশির সঙ্গে কফ ওঠার আরও এক লক্ষণ হতে পারে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনও। এই অ্যাপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোভিডের পাশাপাশি হতে পারে সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন।
করোনা ছাড়াও এই সংক্রমণ হওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে কফের রং হলুদ বা সবুজ হলে সতর্ক হতে হবে। সঠিক সময়ে ব্যবস্থা না নিলে নিউমোনিয়া হতে পারে। এর থেকে শ্বাসকষ্ট এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
কোভিডের কাশি হতে পারে ইনফেকশনের প্রথম সপ্তাহে। এরপর থেকে বুকে ব্যথা, ক্লান্তি, মাথাব্যথা এমনকি শ্বাসকষ্টও দেখা দিতে পারে।
তাই কোভিডের কাশিকে হেলাফেলা করবেন না। কাশির সঙ্গে ঘন ঘন কফ ওঠার লক্ষণ দেখলেই দ্রুত টেস্ট করাতে হবে।
কোভিডের অন্যান্য লক্ষণ কী কী?
১. গলাব্যথা
২. নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া
৩. হাঁচি
৪. কাশি
৫. মাথাব্যথা
৬. গলা ভেঙে যাওয়া
৭. পেশিতে ব্যথা
৮. স্বাদ ও গন্ধ নিতে সমস্যা ইত্যাদি।
কোভিড কাশির সমস্যা সারাতে করণীয়-
১. বারবার পানি পান করুন।
২. স্টিম বা ভাঁপ নিন।
৩. শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন।
৪. নাক দিয়ে শ্বাস নিন ও শ্বাস ছাড়ুন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া