গণঅবস্থান থেকে নতুন কর্মসূচি দেবে বিএনপি

0

বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে গণঅবস্থান কর্মসূচি আজ চলছে।

বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত করা ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বে বিভিন্ন দল ও জোট গত ডিসেম্বর থেকে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছে। আজকের গণ-অবস্থান তাদের দ্বিতীয় যুগপৎ কর্মসূচি।

আজকের কর্মসূচি থেকে নতুন করে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে।

ঢাকায় ইতোমধ্যে গণঅবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কর্মসূচিতে অংশ নিতে নয়াপল্টন যাবেন।

বিএনপি গত কয়েকদিন ধরে নতুন কর্মসূচির বিষয়ে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছে। নিজেদের দাবির পাশাপাশি জনদুর্ভোগ ও ভোগান্তির দিকটিও নতুন কর্মসূচিতে গুরুত্ব পাবেন।

সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, গণঅবস্থান কর্মসূচি থেকে ১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের যুগপৎ কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে। নতুন এ কর্মসূচি চিন্তার ক্ষেত্রে মূল বিষয় হবে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির সরকারি উদ্যোগের প্রতিবাদ করা। দুদিন আগে সরকারের পক্ষ থেকে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। সরকারের এই সিদ্ধান্ত ভোগান্তি বাড়াবে। এ কারণে জনগণের দাবি সামনে রেখে কর্মসূচি দেবে বিএনপি।

ঢাকার বাইরেও বিএনপি আজ ঢাকাসহ ১০টি বিভাগীয় শহরে (সাংগঠনিক বিভাগ) যে গণঅবস্থান কর্মসূচি দিয়েছে, প্রতিটিতে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নিচ্ছেন। দেশব্যাপী আন্দোলনে গতি আনতে বিএনপি নানা কৌশল অবলম্বন করছে।
এর আগে ৩০ ডিসেম্বর সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে ঢাকায় বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো যুগপৎভাবে গণমিছিল করেছিল। তার আগে বিএনপি রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা ও ২৭ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছে। এখন তারা বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে নতুন কর্মসূচি নেওয়ার কথা বলছে।

২৫ জানুয়ারি বিএনপি দলীয়ভাবে একটি কর্মসূচি দিতে পারে বলে দলটির সূত্রে জানা গেছে। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় শাসনব্যবস্থা বাতিল করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা (বাকশাল) প্রবর্তন করা হয়েছিল। এর প্রতিবাদে সেই দিনটিতে অতীতের মতো এবারও বিএনপি কর্মসূচি রাখতে চাইছে।

মাঠে থাকবে ৩৪ রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী পরিষদসহ আরও ১৫ সংগঠন : বুধবার গণঅবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপি ছাড়াও সাতদলীয় গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, ১২ দলীয় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট মাঠে থাকবে। এছাড়া কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরামও মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি থাকবে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এবং ইয়ুথ ফোরাম, জিয়া নাগরিক সংসদ, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি, জাতীয়তাবাদী চালক দলসহ ১৫টি সংগঠন।

গণঅবস্থান কর্মসূচি বাস্তবায়নে সাতদলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ কয়েক দফা প্রস্তুতি বৈঠক করেছে। ওইদিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তারা গণঅবস্থান কর্মসূচি পালনে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জোটের একাধিক নেতা জানিয়েছেন। গণঅবস্থান সফল ও পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে সোমবার ১২ দলীয় জোট ও ১২ দলের জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। এতে আগামী দিনের আন্দোলন কর্মসূচিসহ করণীয় নিয়ে এ দুই জোটের শীর্ষ নেতাদের মতামত নেওয়া হয়।
পূর্ব পান্থপথের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বড় আকারে শোডাউন করে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালনে প্রস্তুতি নিচ্ছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতাকর্মীরা। এছাড়া সব বিভাগীয় শহরে দলটি এ কর্মসূচি পালন করবে। বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করবে ১২ দলীয় জোট। পুরানা পল্টন মোড়ে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছেন ১২ দলের জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। আরামবাগে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালন করবে মোস্তফা মোহসীন মন্টু নেতৃত্বাধীন গণফোরাম। এদিকে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম এক বিবৃতিতে জানান, কাল ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’পালন করবে তারা। এজন্য দেশের সব মহানগরী শাখায় আলোচনা সভা করা হবে।সূত্র: যুগান্তর

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com