বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন চেম্বার আদালত স্থগিত করায় আপাতত তাদের কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।
আগামী রোববার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ফখরুল-আব্বাসের জামিন বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত। ওই দিন পর্যন্ত কারাগারে থাকতে হচ্ছে তাদের।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম এ আদেশ দেন।
আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ফখরুল ও আব্বাসের জামিননামা দাখিল করতে পারবেন না মর্মেও আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মির্জা ফখরুল এবং মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। একই সঙ্গে কেন তাদের স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করেন আদালত।
এর পর তাদের জামিন স্থগিত চেয়ে বুধবার সকালে আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার আদালত আজ এ আদেশ দেন।
এর আগে বিচারিক আদালতে চার দফায় ফখরুল-আব্বাসের জামিন নামঞ্জুর হয়।
বুধবার দুপুরে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে মির্জা ফখরুল ও আব্বাসের প্রধান আইনজীবী জয়নুল আবেদীন আদেশের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আমরা হাইকোর্ট বিভাগে জামিন আবেদন করেছিলাম। আদালত উভয়পক্ষ শুনে ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর এবং রুল ইস্যু করেছিলেন। এখনো সেই আদেশ ওই আদালতেই আছে। আমি জীবনে কখনো শুনিনি, সরকারপক্ষ সংবাদপত্রের সামনে বলে আমরা ক্ষুব্ধ হয়েছি। সরকার কিন্তু সবার।
জয়নুল আবেদীন বলেন, একটি মিস কেস পেন্ডিং থাকাবস্থায় আমরা এখানে জামিন আবেদন করেছি। আমাদের কাছে যথেষ্ট জবাব থাকার পরও আমরা যখন জবাব দিতে শুরু করেছিলাম, আদালত আর এ বিষয়ে না শুনে আগামী ৮ জানুয়ারি পূর্ণ আদালত বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন।