প্রেগন্যান্সি টেস্ট কতদিন পর করতে হয়?
গর্ভবতী হওয়ার সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো পিরিয়ড মিস হওয়া। কিন্তু কোনো নারীর পিরিয়ড মিস হয়েছে মানেই যে সে গর্ভধারণ করেছে, এমনটা ধরে নেওয়া যাবে না। আরও অনেক কারণেই পিরিয়ড মিস হতে পারে। তাই নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রেগন্যাস্টি টেস্ট করিয়ে নিতে হবে। তবে সঠিক নিয়মে টেস্ট না করলে রিপোর্ট ভুল আসতে পারে। তাই প্রেগন্যান্সি কিটের মাধ্যমে সঠিকভাবে টেস্ট করার উপায় জানতে হবে।
প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট কী?
তা ঘরে বসেই পরীক্ষার মাধ্যমে জানা সম্ভব। যে কিটের মাধ্যমে এই পরীক্ষা করা হয় তার নাম প্রেগন্যান্সি কিট। এটি ওষুধের দোকানে কিনতে পাওয়া যায়
যেভাবে করবেন প্রেগন্যান্সি টেস্ট
সঠিক রিপোর্ট পেতে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথম প্রসাব থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে বলা হয়। কারণ এসময় প্রস্রাব বেশি ঘনীভূত থাকে। যে কারণে প্রস্রাবে থাকা এইচসিজি হরমোনের উপস্থিতি ভালোভাবে বোঝা যায়। তবে পিরিয়ডের ডেট আসার আগে কিংবা প্রচুর পানি পান করে এই টেস্ট করলে রিপোর্ট ভুল আসতে পারে। প্রেগন্যান্সি কিটের প্যাকেটে নির্দেশনা লেখা থাকে। সেই নির্দেশনা পড়ে সেভাবে পরীক্ষা করুন। একটি পরিষ্কার পাত্রে সকালের প্রথম প্রস্রাব থেকে কিছুটা সংগ্রহ করুন। প্রেগন্যান্সি কিটের নির্দিষ্ট স্থানে ড্রপারের সাহায্য প্রস্রাবের নমুনা দিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফলাফল দেখতে পাবেন। একটি দাগ উঠলে আপনি গর্ভবতী নন, দুটি দাগ উঠলে আপনি গর্ভবতী।
প্রেগন্যান্সি টেস্ট কতদিন পর করতে হয়?
পিরিয়ড মিস হওয়ার পর তারাহুড়ো করবেন না। অন্তত সপ্তাহখানেক অপেক্ষা করে তারপর পরীক্ষা করুন। কারণ বেশি তাড়াতাড়ি পরীক্ষা করলে ভুল রিপোর্ট আসতে পারে। আপনার পিরিয়ড যদি অনিয়মিত হয় বা প্রতি মাসেই একটু পিছিয়ে পিছিয়ে যায়, তাহলে পিরিয়ডের শেষ দিন থেকে ৩৫-৪০ দিন অপেক্ষা করার পর টেস্ট করুন।
প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিটের দাম কেমন?
প্রেগনেন্সি টেস্ট কিটের দাম ব্র্যান্ড ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তবে ২০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যেই এটি কিনতে পাওয়া যাবে।
লবণ দিয়ে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে চাইলে
এটি একটি পুরোনো পদ্ধতি। নানি-দাদিদের সময়ে বাড়িতে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা হতো এমন সব প্রাকৃতিক উপায়ে। আপনিও যদি সেভাবে পরীক্ষা করতে চান তবে পদ্ধতি জেনে নিন-
যা লাগবে
* পরিষ্কার কাচের গ্লাস
* সামান্য লবণ
* সকালের প্রথম প্রস্রাবের কয়েক ফোঁটা
* একটি পরিষ্কার ড্রপার
যেভাবে পরীক্ষা করবেন
ড্রপারের সাহায্যে গ্লাসের মধ্যে সকালের প্রথম প্রস্রাবের কয়েক ফোঁটা নিন। এবার তার উপর সামান্য লবণ ফেলে দিন। অপেক্ষা করুন মিনিট পাঁচেক। যদি বুদবুদ উঠতে দেখেন তাহলে বুঝে নেবেন যে আপনি মা হতে চলেছেন। আর যদি কোনো পরিবর্তন না দেখতে পান তবে আপনার গর্ভবতী না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।