জামায়াত-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ ১২ দলীয় জোটের
গত ৩০ ডিসেম্বর রাজধানীর মৌচাক-মালিবাগ এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ১২ দলীয় জোটের নেতারা।
রোববার (১ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ জোটের নেতারা বলেন, জামায়াতে ইসলামীর শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধা দেওয়া ও আক্রমণ করে মিছিলকারীদের হেনস্তা, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারের নিন্দা জানাচ্ছি।
আমরা মনে করি, জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো রাজনৈতিক দল নয়। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পক্ষে তাদের আন্দোলন যৌক্তিক ও সময়োচিত।
বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের দাবিতে বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী সব রাজনৈতিক দল দেশব্যাপী যুগপৎ আন্দোলন করছে। নিশিরাতের অবৈধ সরকার ও ভোট ডাকাতদের বিরুদ্ধে জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের আন্দোলন সময়ের দাবি এবং দেশবাসীর ইচ্ছার প্রতিফলন।
তারা আরও বলেন, শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ, মিছিলে বাধাদান, লাঠিচার্জ এবং হামলা-মামলা ও গ্রেফতার করার মতো গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের পরিপন্থী কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা সরকার এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।
বিবৃতিদাতারা হলেন- জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম (বীর প্রতীক), বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনডিপি চেয়ারম্যান কারী মোহাম্মদ আবু তাহের, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল করিম, মুসলিম লীগের মহাসচিব শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড সৈয়দ নুরুল ইসলাম।