যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তারা স্বাধীনতার পক্ষশক্তি হতে পারে না: ড. মঈন খান

0

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, তারা (আওয়ামী লীগ) গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, কিন্তু মুখে বলে তারা নাকি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল। আমি বলতে চাই– যে দল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তারা কীভাবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হয়? মুক্তিযুদ্ধে দেশের মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের মূল কথাই ছিল গণতন্ত্র।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে ‘১০ দফা বাস্তবায়ন ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের সব নেতার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে রাশেদ ইকবাল খান মুক্তি পরিষদ।

আবদুল মঈন খান বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিলাম। কারণ, আমরা উপলব্ধি করেছিলাম–পাকিস্তানের যে অপশাসন তার মধ্যে কখনও গণতন্ত্র হতে পারে না, অর্থনৈতিক সাম্য হতে পারে না। এ দুটি কারণে আমরা সেদিন অস্ত্র ধরেছিলাম।’

বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সরকার যদি কোনও অন্যায় করে তাহলে তার জবাবদিহি নিশ্চিত করবে বিরোধী দল। এটা গণতন্ত্রের নিয়ম, বিএনপি তা-ই বিশ্বাস করে। বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।’

মঈন খান বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় বাকশাল এই আওয়ামী লীগ কায়েম করেছে। অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন, সরকার অলিখিত বাকশাল কায়েম করেছে, আমি বলব এটি লিখিতের চেয়ে বেশি কার্যকর।

নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, কেন আজকে জাতীয় সংসদে ৩০০ আসনের মধ্যে সরকার ২৯৩টি আসন দখল করে রেখেছে? এটি কি কোনো নির্বাচনের মাধ্যমে হতে পারে। এই বিষয় তো একজন বোকার কাছেও পরিষ্কার। শুধু তৃণমূলের মানুষ নয়, বিশ্বের নামিদামি মানুষ বুঝে গেছে, এ দেশে কী হয়।

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগ যদি জনগণের ভালোই করে থাকে, নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছে কেন? দেশে যদি মানুষের ভোটের অধিকার দিতে হয়, তাহলে সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক আহ্বায়ক আক্তার হোসেন। সঞ্চালনা করেন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি করিম প্রধান রনি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com