মামলা-হামলা করে সরকার নির্বাচনী মাঠ ফাঁকা করতে চায়: ইশরাক
আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির নেতাকর্মীদের মামলা-হামলা করে সরকার নির্বাচনী মাঠ ফাঁকা করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বিএনপি সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। এ সময় তিনি নির্বাচিত হলে জনগণের খেদমত এবং তাদের উন্নয়নে নিজের জীবন উৎসর্গ করবেন বলেও অঙ্গীকার করেন।
তিনি বলেন, আমাদের ওপর হামলার পর আমাদের নেতা–কর্মীদের নামেই মামলা দেয়া হয়েছে। ওয়ারী থানা-পুলিশ এর মধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেপ্তারও করেছে। হামলার বিষয়টি আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, অতীতের মতো ভোটের মাঠ ফাঁকা না রেখে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখুন। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করুন। আমরা শান্তিপূর্ণ ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা পরিবর্তনে বিশ্বাসী।
ইশরাক বলেন, এত দিন আমি শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করে এসেছি। আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে দেখা হলে আমি কুশল বিনিময় করেছি। কিন্তু রোববার একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমি বাসায় যাওয়ার পথে আমার ওপর আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী ও সমর্থকরা ন্যক্কারজনক হামলা চালায়। এতে সাংবাদিকসহ অনেকে আহত হন। আমরা আশঙ্কা করেছিলাম যে হামলা-মামলা দিয়ে মাঠ ফাঁকা করে দেয়া হতে পারে। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ শ্যামল দত্ত, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবদুস শহীদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন উপস্থিত ছিলেন।
পরে ইশরাক ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এর পর বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। দুপুরে তিনি খিলগাঁও এলাকার জোড় পুকুর পাড় এলাকায় জনসংযোগ করেন।
একই সময় ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার স্ত্রী ইশমত আরা রাজপথে সন্তানের জন্য ভোট ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে সবার কাছে দোয়া চান। গণসংযোগকালে তার সঙ্গে ছোট ছেলে ইশফাক হোসেনসহ পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।