নিশি রাতের সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ জেগে উঠেছে: মির্জা ফখরুল

0

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিশি রাতের অবৈধ সরকারের লুটপাটের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ জেগে উঠেছে। রংপুর, খুলনা ও ময়মনসিংহের গণসমাবেশই তার প্রমাণ।

গণতন্ত্র হরণকারী সরকার পরিবহন বন্ধ করে কোনোভাবেই জনস্রোত ঠেকাতে পারেনি। এই ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতা ছেড়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন না দেওয়া পর্যন্ত বিএনপি তথা জনগণ আর ঘরে ফিরবে না।

বুধবার (২ নভেম্বর) বগুড়া জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, লুটপাটের প্রতিবাদে এবং গণতন্ত্র রক্ষার জন্য চলমান আন্দোলনে পাঁচ জনের প্রাণ গেছে। ৬০০ বিএনপি নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলেও দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যায়। অতীতে যে মানুষ না খেয়ে মরেছে, সামনেও  তেমনি অবস্থার সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। বিএনপি নানা সংকটের সময়ে দেশ ও জনগণকে রক্ষা করেছে। এখনো বিএনপির ওপর মানুষ আস্থা রেখে অপেক্ষা করছে।

এসময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে সরকারকে পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিভাগীয় সমাবেশে বাধা ও হামলা করে জনস্রোত ঠেকানো যাবে না। এ লড়াই জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লড়াই। এ লড়াই বিএনপি, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য নয়। এটা দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থের লড়াই। এ লড়াইয়ে জিততে হবে। নইলে দেশ অন্ধকারে ডুবে যাবে। আগামী দিনে দেশ কোন পথে যাবে জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপি রাজপথেই সে ফায়সালা করবে। সেই আন্দোলনে শরিক হওয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।

সম্মেলনে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জাতিকে রক্ষার জন্য জিয়া পরিবার যেভাবে কাজ করছে তার ধার শোধ করতে গণজাগরণকে এগিয়ে নিতে হবে। বিএনপির ডাকে যখন সারাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে তখন আওয়ামী লীগ দিশেহারা হয়ে হামলা, মামলা ও সমাবেশে বাধা দিচ্ছে। যারা ভয় পায় তারাই হুমকি দেয়। রংপুরের সমাবেশ প্রমাণ করেছে বিএনপি ছাড়া সেখানে অন্য কোনো দল নেই।’

তিনি বলেন, ‘দেশকে এ সরকার ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করেছে। সরকার দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দাবি করলেও এখন বলছে, দুর্ভিক্ষ আসতে পারে। তারা বিদ্যুৎ দিতে পারে না, গ্যাস দিতে পারে না, তেল দিতে পারে না। চারিদিকে শুধু নাই আর নাই। সরকার রিজার্ভ চুরি করে পাচার করছে বলে তলানীতে ঠেকেছে রিজার্ভ। ব্যাংকে ডলার নেই বলে বিদেশ থেকে আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার প্রধান বলেছেন- বিএনপিকে নাকি হেফাজতের পরিণতি ভোগ করতে হবে। তাহলে গুলি করে হেফাজতের লোকজনকে যেমন হত্যা করা হয়েছে, বিএনপিকেও তাই করা হবে। আমি পরিষ্কার বলে দিতে চাই, জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম বিএনপি চালিয়ে যাবে। কোনো কিছুতেই দাবিয়ে রাখা যাবে না।’

তিনি তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিুরদ্ধে নতুন করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com