গতকাল সোমবার (৩১ অক্টোবর) গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দূর্গাপুজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটি দেশে যদি গণতন্ত্র না থাকে তাহলে দেশের জনগণের কোনো অধিকার থাকে না। গণতন্ত্র না থাকায় দেশের জনগণ বিপদের মধ্যে আছে, সঙ্কটের মধ্যে আছে। এই সংকট হচ্ছে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সংকট, গণতন্ত্রের সঙ্কট। চলমান সঙ্কট কাটাতে আমরা এখন আন্দোলনে আছি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে আছি। আন্দোলনে দেশের মানুষ স্বত:স্ফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছে। কারণ জনগণ চায় দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসুক। ভোটাধিকার ফিরে আসুক।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের মূলচেতনা ছিল দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। প্রতিটি নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। কল্যাণমুখী একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও আমরা এসব অর্জন করতে পারিনি। স্বাধীনতার চেতনা সত্যিকার অর্থে প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি রাজপথে আন্দোলন করছে। আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশের জনগণের সাংবিধানিক সকল অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সকল নাগরিককে এক ছাতার নিচে আনতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মূল উদ্দেশ্য ছিল জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি না করে বরং সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। জিয়াউর রহমানের পর দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও দেশের জনগণের মধ্যে কোনো বিভেদ সৃষ্টি করতে চাননি। অথচ, বিগত ১৪ বছর ক্ষমতাসীন অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার দেশে বিভেদের রাজনীতি চালু করেছে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে ঘরে ঘরে বিভেদ সৃষ্টি করেছে। আমরা এই বিভেদ দূর করতে কাজ করে যাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘এবারের নির্বাচন বিএনপির বাঁচার লড়াই, আওয়ামী লীগের সম্পদ রক্ষার লড়াই। আজকে আওয়ামী লীগ রাজনীতিকে জাতীয়করণ থেকে বর্তমানে পিতৃকরণ করছে। আওয়ামী লীগের আমলে সবচেয় বেশি মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।’