আওয়ামী লীগ হলো বর্ণচোর, জন্মগতভাবে চোর: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ হলো বর্ণচোর, জন্মগতভাবে চোর। তাদের চরিত্রে দুটি জিনিস আছে। একটা হলো চুরি, আরেকটা সন্ত্রাসী। এই নিয়েই আওয়ামী লীগ সরকার। তাই তাদের মিথ্যা কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, কে কত সমাবেশ করলো তাতে কিছু যায় আসে না। সবচেয়ে বড় কথা হলো মানুষ তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তারা এখন সম্পূর্ণভাবে জনবিচ্ছিন্ন।
গতকাল শুক্রবার রাত ৯টায় ৩০ মিনিটে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
শনিবার রংপুরে বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণের জন্য শুক্রবার রাতেই ঢাকা থেকে আকাশপথে সৈয়দপুরে এসে পৌঁছান তিনি। তার সাথে ছিলেন বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী টুকু।
ব্যারিস্টার খোকন বলেন, আওয়ামী লীগ হলো গণতন্ত্র হত্যাকারী। তারা ৭৫ সালে বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে জনগণের মতামতকে গলাটিপে হত্যা করে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করে শোষণ করেছে। এখনো তারা অসত্য কথা বলছে, বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে, ভোটাধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। এভাবে তারা কৌশলে আবারো একদলীয় শোষণ প্রতিষ্ঠায় মত্ত।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণকে ভয় পায়। কারণ তাদের কোনো জনপ্রিয়তা নাই বরং তারা জনগণের শত্রু। তাই তারা যখন বিএনপি’র সমাবেশে বিপুল মানুষের উপস্থিতি দেখে তখন হিংসায় জ্বলে। সেই হিংসা ও ভীতি থেকেই তারা গণসমাবেশ ঠেকাতে গণপরিবহণ বন্ধ করেছে। মন্ত্রীরা যে যতই বলুক মূলত সরকারের নির্দেশেই এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এভাবে বাস বন্ধ করা বা জনভোগান্তী করা সরকারের মদত ছাড়া কোনোভাবেই সম্ভবপর নয়। কারণ বাস মালিকদের সরকারই লাইসেন্স দেয়। তারা ইচ্ছে করলেই এই ধর্মঘট থামিয়ে দিয়ে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করতে পারতো। কিন্তু আওয়ামী লীগ শান্তি ও সহনশীলতা বিরোধী বিধায় জনস্বার্থ বিরোধী কাজ করেছে। এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানাই। জনগণও এই সরকারি হরতালকে প্রতিহত করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমাবেশে অংশগ্রহণ করবে।