বিদায়ী তথ্য সচিব মকবুল যা বললেন

0

সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’র ধারা ৪৫ অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি হতে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয় তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেনকে। বিদায় নেওয়ার আগে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন তিনি।

জানান, বিএনপি ও সরকার বিরোধী কোনো কাজে তার কোনোরকম সম্পর্ক ছিল না।

তিনি আরও জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সরাসরি কখনো দেখেননি, এবং তাকে দেখার কোনো ইচ্ছেও তার নেই। যদি এমন কোনো কর্মকাণ্ডের কোনো তথ্য পাওয়া যায়, সেটি সাংবাদিকরা প্রচার করতে পারবেন।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকরা মকবুল হোসেনকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। তিনি লন্ডনে গিয়ে কারও সঙ্গে বৈঠক করেছেন; এমন একটি কথা চাউর হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিদায়ী তথ্য ও সম্প্রচার সচিব বলেন, আমরা লন্ডনে গিয়েছি গত মার্চে। আমরা একটা টিম নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের আশিকুন্নবী আছেন, আমাদের প্রেস। তাকে জিজ্ঞাসা করেন তাহলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।

তারেক রহমানের তার যোগাযোগ তৈরি হয়েছে বলে যেসব কথা শোনা যাচ্ছে; তা নিয়ে প্রশ্ন করলে মকবুল হোসেন বলেন, একটা কথা আছে, হাতি যখন পাকে পড়ে, চামচিকাও লাথি মারে। আমি তারেক রহমানকে কোনোদিন দেখেছি বলে মনে হয় না। তাকে দেখার ইচ্ছাও আমার নেই।

এ সময়  যে সব অভিযোগ এসেছে সেগুলো বস্তুনিষ্ঠ হলে প্রকাশ করার অনুরোধ করেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন। তিনি বলেন, যদি প্রমাণ হয় বিএনপির সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিল; আমি যেখানেই থাকি আমাকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেন। যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে, সে বিএনপির লোকের সঙ্গে কানেকশন রাখবে, এটা হয় না। আমি জানি না কেন আমাকে অবসরে পাঠানো হলো! কিন্তু সরকারের এ রাইট আছে। এ বিষয়ে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে অতৃপ্তি দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। প্রত্যেকটি মানুষ নিজেই সবচেয়ে বড় বিচারক। সুতরাং আমি সেই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে সবসময় প্রস্তুত।

বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর কারণ কি হতে পারে এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাজে আপনার অনিয়মের বিষয়টি গণমাধ্যমের খবরে আছে জানিয়ে সচিব মকবুলকে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে তিনি বলেন, আমার জানা মতে নেই। আমি যতদিন এখানে কাজ করেছি, সততার সাথে করেছি, নিষ্ঠার সাথে করেছি, সরকারকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। আমার জ্ঞানের ভেতর নেই, আমার কোনো অপরাধ ছিল কি না বা কোন অপরাধের কারণে অবসরে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এটি সরকার পারে, আইনের ভেতরেই পারে; সেজন্য এটি কার্যকর। আমি সরকারের প্রতি, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি খুবই শ্রদ্ধাশীল।

অন্যান্য দলের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু বলার আছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি আপনারা সাংবাদিক হিসেবে অনুসন্ধান করতে পারেন। সরকার বিরোধী কোনো অ্যাক্টিভিটিজে আমার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল কিনা? যদি থেকে থাকে সেটি আপনারা প্রচার করতে পারেন, আমার পক্ষ থেকে কোনো অসুবিধা নাই।

এ ব্যাপারে নিজের বক্তব্য কি, প্রশ্ন করা হলে বাধ্যতামূলক অবসর পাওয়া সচিব বলেন, যোগাযোগ নিশ্চয়ই ছিল না। আমার আপন বড় ভাই আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। যদি ওখানকার এমপিকে জিজ্ঞেস করতেন, আমার রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড কি? তাহলে বেশি ভালো হতো। আমি হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতিও ছিলাম।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com