ডিজিটাল নম্বর দিয়েও ‘শনাক্ত হচ্ছে না’ চুরি হওয়া গাড়ি
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ২০২১-২২ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা আছে, তারা মোটরযানের জন্য যে নম্বর প্লেট দেয়, সেটিতে রেট্রো-রিফ্লেক্টিভ নম্বর প্লেট ও রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেনটিফিকেশন (আরএফআইডি) ট্যাগ থাকে।
আরএফআইডি হলো একধরনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উইন্ডশিল্ড স্টিকার, যা মোটরযানের উইন্ডশিল্ডে ভেতরের দিক থেকে সেলফ এডহেসিভ দ্বারা লাগানো হয়। এই ট্যাগ মোটরযান ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনার লক্ষ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর দ্বারা মোটরযানের অবস্থান জানা সম্ভব এবং এক মোটরযানে সংযোজিত ট্যাগ অন্য মোটরযানে ব্যবহার করা যায় না।
ডিজিটাল নম্বর প্লেটের জন্য মোটরসাইকেলসহ তিন চাকার যানকে দিতে হয় ২ হাজার ২৬০ টাকা ও চার চাকার গাড়িকে দিতে হয় ৪ হাজার ৬২৮ টাকা। কিন্তু মোটরযান মালিকরা জানিয়েছেন, মোটরযান চুরি প্রতিরোধ, অপরাধে ব্যবহৃত মোটরযান শনাক্তকরণ ও ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীকে শনাক্ত কোনোটিই করা হচ্ছে না।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সেবার নামে প্রতারণা করছে।