সারাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো চলছে জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ
সারাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে একটানা দুপুর ২টা পর্যন্ত।
ভোটগ্রহণ হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।
ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রতিকেন্দ্রে মোতায়েন করা হয়েছে সাত জনের ফোর্স। ভোটের এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে কয়েক প্লাটুন বিজিবি, কোস্টগার্ড ও র্যাবের টিম। তারা মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। প্রতি ভোটকেন্দ্রে ও ভোটকক্ষে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
নির্বাচন ভবনে স্থাপিত মনিটরিং সেল থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া আচরণবিধি প্রতিপালন ভোটের এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় নিয়োজিত রয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। আবার সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ পরিচালনায় রয়েছেন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরাও।
তিন পার্বত্য জেলা বাদে ৬১টি জেলা পরিষদে নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচন আদালত কর্তৃক স্থগিত করা হয়েছে। ভোলা ও ফেনী জেলার সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়েছে।
এ অবস্থায় ৫৭টি জেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে চেয়ারম্যান পদে ৯২ জন, সদস্য পদে ১ হাজার ৪৮৫ জন ও সংরক্ষিত পদে ৬০৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছে ৬০ হাজার ৮৬৬ জন। তারা ৪৬২টি ভোটকেন্দ্রের ৯২৫টি ভোটকক্ষে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। একটি জেলায় যতগুলো স্থানীয় সরকার রয়েছে, সেগুলোর প্রতিনিধিরাই ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্যদের নির্বাচিত করবেন।
নির্বাচনে ২৬ জন চেয়ারম্যান, ১৮ জন মহিলা সদস্য এবং ৬৫ জন সাধারণ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় হয়েছেন।