জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা জিএম কাদেরের নেতৃত্বেই সংসদে যাবে: চুন্নু
‘জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের এখন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা। জাতীয় পার্টি সংসদীয় দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা জিএম কাদেরের নেতৃত্বেই সংসদে যাবে।’
জাতীয় পার্টি মহাসচিব বলেন, ‘প্রেসিডিয়াম সভায় উপস্থিত নেতারা আজও ঐক্যবদ্ধভাবে ওই সিদ্ধন্তের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। জিএম কাদেরই বিরোধীদলীয় নেতা।’
তিনি বলেন, ‘বেগম রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক, এটি আলংকারিক পদ। কাউন্সিল আহ্বান করার এখতিয়ার নেই বেগম রওশন এরশাদের। দলীয় বা প্রশাসনিক কোনো দায়িত্ব নেই বেগম রওশন এরশাদের। নৈতিকতার প্রশ্নেই দেশে ফিরে বেগম রওশন এরশাদের বিরোধীদলীয় নেতার পতাকা ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ সংসদীয় দলের সদস্যরা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচিত করেছেন। আর মসিউর রহমান রাঙা নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি জিএম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি করবেন না। তাই তার বিরোধীদলীয় হুইপের পদে থাকার প্রশ্নই আসে না।’
শনিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্যদের যৌথ সভা শেষে গণমাধ্যমকে পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি এসব কথা বলেন।
এ সময় চুন্নু বলেন, ‘জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভক্তি নেই, জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ। এখন জাতীয় পার্টির কোনো কাউন্সিল হচ্ছে না, জাতীয় পার্টির কাউন্সিলের সময় এখনো হয়নি। কিছু মানুষ একটি কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টির নাম ব্যবহার করছে। আসলে ওই কাউন্সিলের সঙ্গে জাতীয় পার্টির কোনো সম্পর্ক নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ওই কাউন্সিলকে আমলেই নিচ্ছি না। প্রেসিডিয়ামের ৪১ সদস্যের মধ্যে ৩৮ জন এবং ২৬ এমপির মধ্যে ২০ জনই আজ উপস্থিত ছিলেন। যারা আসতে পারেননি, তাদের কেউ বিদেশে অথবা অসুস্থ। আসলে সবাই জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।’
এ সময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে জাতীয় পার্টি আর কোনো জোটে নেই। জাতীয় পার্টি নিজস্ব রাজনীতি নিয়ে গণমানুষের পক্ষে কথা বলছে, এতে কেউ কেউ মনে করে জাতীয় পার্টি বুঝি বিএনপির সঙ্গে যোগ দিচ্ছে। আসলে জাতীয় পার্টি নিজস্ব রাজনীতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় পার্টি কারো জোটে নেই। আওয়ামী লীগ-বিএনপি নয়, জাতীয় পার্টি দেশের মানুষের সঙ্গে আছে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশ পরিচালনায় ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও কোথাও মাত্র ২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। বিদ্যুৎ গেলে কখন আসে তার কোনো ঠিক নেই। সড়কে মানুষের নিরাপত্তা নেই। মানুষ টাকা দিয়েও পরিবহণের সেবা পায় না। সুষ্ঠু পরিবহণ ব্যবস্থা নিশ্চিতে সরকার একেবারেই ব্যর্থ।’