সুলতানা কামাল মানবাধিকার কর্মী নয়, তিনি আওয়ামী অধিকার কর্মী: রিজভী
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল মানবাধিকার কর্মী নয়, আওয়ামী অধিকার কর্মী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
ইন্ডিয়া টুডেতে সাক্ষাৎকার দেওয়া সুলতানা কামালের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, যখন ভোলা-যশোর-মুন্সিগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জে বিএনপির যুবদলের কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে তখন আপনি (সুলতানা কামাল) কোথায় ছিলেন? আপনারা সেটার প্রতিবাদ করলেন না আপনারা কিসের মানবাধিকার কর্মী।
রিজভী বলেন, আরেকজন বুদ্ধিজীবী মুনতাসির মামুন বলেছেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে এদেশের অনেকেই দেশে থাকতে পারবে না। কেন থাকতে পারবে না? জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় ছিলেন আপনি চাকরি করেননি? বেগম জিয়ার ক্ষমতার ওই সময় আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক ছিলেন। আপনি কোথায় পালিয়ে গিয়েছিলেন? বরং দেশবিরোধী কাজ করেছেন।
তিনি বলেন, সুলতানা কামালদের কোনো সাক্ষাৎকার কিংবা মুনতাসির মামুনের কোনো বিবৃতি এদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষকে বিচলিত করতে পারবে না বরং তারা আজ ‘দালাল’ হিসাবে চিহ্নিত। তিনি এদেশের সাংস্কৃতি চায় না, অন্যকোনো দেশের সাংস্কৃতি এদেশের জনগণের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে চায়। আর এজন্য সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
‘নেতাকর্মীদের ওপর এত নির্যাতন নিপীড়ন করার পরেও বিএনপি জেগে উঠে কি করে। বিএনপিকে কবরে পাঠাচ্ছে সেখান থেকেও জেগে উঠছে কি করে? এটা সরকারকে আর ও প্রতিহিংসা পরায়ণ করছে। শুধু তাই নয়, তার যে বুদ্ধিজীবীরা আছে তারাও তাদের মতো কোরাস গাইছেন। এখন দেখছি সরকারের পক্ষে ছাপাই গাইছেন সুলতানা কামালের মতো একজন মানবাধিকার কর্মী। বিদেশি একটি পত্রিকায় তিনি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। ইডেন কলেজের বিষয় নিয়ে ইনডাইরেক্টলি সাফাই গাইছেন।’
রিজভী বলেন, ইডেন কলেজে এসব ঝামেলা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে কিন্তু এত ন্যাক্কারজনক ঘটনা এর আগে ঘটেনি। ছাত্র ছাত্রীদের মারামারি হয় কিন্তু একটা প্রতিষ্ঠানকে ক্রীতদাসের বাজারে পরিণতি করা আগে কখনো হয়নি। আপনি একজন মানবাধিকার কর্মী আইনি সালিশ কেন্দ্রে ছিলেন। সুলতানা কামাল আপনার বিবেক বিবেচনা কোথায়? আপনি শেখ হাসিনাকে তকমা দেওয়ার জন্য বিদেশি পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিয়েছেন যে রাষ্ট্র সংস্কার এ রকমই চলছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সুলতানা কামাল মুনতাসির মামুন ছাড়া আর কারো কণ্ঠ থাকবে না। এটা সুলতানা কামাল ও মুনতাসির মামুনরা মনে করেন। শিক্ষকরা নিজেরাও শিক্ষিত একটা শ্রেণিকেও শিক্ষিত করে তারা আজকের এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। তাদের যে কর্মসূচি সেই কর্মসূচি বানচাল করার চেষ্টা করেছে এই সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
‘এদেশের জনগণের উন্নয়নের কাজ করেছে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া। আপনি শেখ হাসিনা শুধু দেখান ফ্লাইওভার। কি কারণে দেখান। কারণ হলো এখান থেকে লুটপাট করতে পারবেন। আপনি (হাসিনা) একটা স্কুল করতে পারেননি যেখানে বিনা পয়সায় পড়াশোনা করতে পারবে, এগুলো করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়া।