নারীশিক্ষা বাড়লে অর্থনীতির ক্ষতি হবে, দাবি ইউরোপের দেশ হাঙ্গেরির
উচ্চশিক্ষিত নারীরা বিয়ে করতে ও বেশি সংখ্যক সন্তানধারণে অনিচ্ছুক। এজন্য নাকি দেশের জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে। এছাড়া উচ্চশিক্ষায় নারীর সংখ্যা বেড়ে গেলে বৈষম্যের শিকার হবেন পুরুষরা। আর এজন্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের অর্থনীতি। সম্প্রতি এক এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে ইউরোপের দেশ হাঙ্গেরি।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন সম্প্রতি শিক্ষা ও সামাজিক অবস্থা নিয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করেছে। তবে এত দিন গোপনেই ছিল সেই রিপোর্ট। বৃহস্পতিবার হাঙ্গেরির একটি সংবাদপত্রে ফাঁস হয় প্রতিবেদনটি।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের উচ্চ শিক্ষায় নারীদের অংশ নেওয়ার হার বাড়ছে। শিক্ষাব্যবস্থায় নারীর সংখ্যাবৃদ্ধিকে কটাক্ষ করা হয়েছে ‘গোলাপি শিক্ষাব্যবস্থা’ বলেও।
বিতর্কিত ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নারী শিক্ষায়নের ফলে ‘মেয়েলি’ ভাবনাচিন্তার প্রভাব বেড়ে যেতে পারে সমাজে। আর তা প্রভাব ফেলবে লিঙ্গসমতায়।
রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গির জন্য এর আগেও ইউরোপের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের তোপের মুখে পড়েছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। সমালোচনার মুখেও অবশ্য নিজের অবস্থানে অনড় থেকে এই নেতা উল্টো ঘোষণা করেছেন, হাঙ্গেরিকে ‘অনুদার গণতন্ত্র’ হিসাবে গড়ে তুলতে চান তিনি।
২০১০ সালে ক্ষমতায় আসার পরই দেশের সংবিধানে একাধিক পরিবর্তন এনেছেন ভিক্টর অরবান। বিরোধীদের অভিযোগ, ধর্মের নামে হরেক রকমের নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দিচ্ছেন অরবান। পুরুষতান্ত্রিকতার কট্টর সমর্থক বলেও সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে।
একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে নারী রাজনীতিবিদের সংখ্যার নিরিখে হাঙ্গেরি নীচের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। নতুন এই প্রতিবেদনকে সেই চিন্তাধারারই প্রতিফলক বলে মনে করছেন কেউ কেউ।