কারিনা কীভাবে মেদহীন শরীর ধরে রেখেছেন, এ প্রশ্ন সবার মনেই উঁকি দেয়
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খানে যেন মুগ্ধ সবাই। দুই পুত্রের জননী এই অভিনেত্রীর বয়স বর্তমানে ৪১ বছর। তবুও তার ফিটনেস দেখে অবাক হয়ে যান ভক্তকূল।
যেখানে সন্তান হওয়ার পর নারীদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা মুশকিল হয়ে যায়, সেখানে কারিনা কীভাবে মেদহীন শরীর ধরে রেখেছেন, এ প্রশ্ন সবার মনেই উঁকি দেয়।
এর উত্তর হলো, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার মাধ্যমেই ফিটনেস ধরে রেখেছেন কারিনা। বরাবরই স্বাস্থ্যকর জীবনধারণে অভ্যস্ত তিনি।
যদিও গর্ভকালীন সময়ে বেশ ওজন বেড়ে গিয়েছিল তার। তবে সন্তান হওয়ার পর ধীরে ধীরে অতিরিক্ত মেদ কমিয়েও ফেলেছেন তিনি।
অনেকেরই হয়তো জানার আগ্রহ আছে বলিউডের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী সারাদিনে কী কী খান। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-
ভারতের সেলিব্রিটি পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকরের দেওয়া ডায়েট চার্ট অনুসরণ করেন কারিনা কাপুর। এই পুষ্টিবিদ তার অডিওবুক ‘ইটিং ইন দ্য এজ অব ডায়েটিং’ এ কারিনা কাপুরের ফিট থাকা মূলমন্ত্র সম্পর্কে জানিয়েছেন।
তিনি জানান, কারিনা দৈনিক ৬০-৯০ মিনিট শরীরচর্চা করেন। এর আগে তিনি ফাইবারজাতীয় খাবার খান। যাতে ব্যায়াম করার পরও শরীর নিস্তেজ না হয় ও ক্যালোরি পোড়ে।
দুপুরের খাবারের পর কারিনা কাপুর অবশ্যই এক গ্লাস লেবু পানি পান করেন। এটি তিনি তৈরি করেন লেবুর রস, কালো মরিচের সামান্য গুঁড়া, কেসর ও আদার রস মিশিয়ে। পুষ্টিবিদের মতে, এই পানীয় বিকেলের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে ও সতেজ রাখে।
বিকেলের নাস্তায় কারিনা মাখানা খেতে পছন্দ করেন। এর স্বাস্থ্যগুণও অনেক। এতেও প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা পেটকে দীর্ঘক্ষণ পরিপূর্ণ রাখে।
রাতে কী খান কারিনা?
পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকরের মতে, রাতের খাবারের জন্য কারিনা পাতে রাখেন অল্প ভাত, ডাল বা খিচুড়ি, টকদই, সবজি কিংবা ঘি দিয়ে জোয়ারের রুটি।
সঠিক খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি কারিনা শারীরিক গঠন বজায় রাখতে জিম থেকে শুরু করে যোগব্যায়াম সবকিছুই নিয়মিত করেন।