পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে একে আব্দুল মোমেনর থাকা আর মোটেও সমীচীন হবে না বলে মনে করেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক। তিনি বলেন, আমি আশা করছি, ন্যূনতম শালীনতা বোধ থেকে থাকলে একে আব্দুল মোমেন অবিলম্বে স্বেচ্ছায় রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। রোববার একটি বেসরকারি গণমাধ্যমে এমন মন্তব্য করেন ড. শাহদীন মালিক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে বলেন, তিনি ভারতে গিয়ে বর্তমান সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ‘যা যা করা দরকার’ তা-ই করার অনুরোধ করেছেন। পরদিন শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, ‘আমি বলেছি, আমরা চাই শেখ হাসিনার স্থিতিশীলতা থাকুক। এ ব্যাপারে আপনারা (ভারত) সাহায্য করলে আমরা খুব খুশি হব।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্যে দেশের রাজনীতিতে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। অনেকে বলেছেন, এটা দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন করেছে।
শাহদীন মালিক বলেন, ইদানীং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনেক বক্তব্য মুখরোচক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এসব বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রয়োজনীয় দক্ষতা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞার অভাব এখন স্পষ্ট। তিনি বারবার আবোলতাবোল বলে যাচ্ছেন। দায়িত্বশীল পদে থেকে তিনি এসব বলতে পারেন না। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকাটা এখন আর মোটেও সমীচীন নয়।
শাহদীন মালিক আরও বলেন, বর্তমান সরকারকে বহাল রাখার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের সাহায্য কামনা করেছেন। সুইস ব্যাংকে অর্থ রাখা নিয়ে সুইস রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যকে মিথ্যাচার বলেছেন। এরকম পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে এনে সরকারের মনোভাব জানানো হয়। তিনি চরম মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সময় দেশের জনগণ বেহেশতে আছে বলে জনগণের দুঃখ-দুর্দশাকে নিয়ে উপহাস করেছেন।