ধর্ষণে সহায়তাকারী যুবলীগ নেতাকে ছেড়ে দিল পুলিশ!

0

ঢাকার ধামরাইয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় ধর্ষককে ভাগিয়ে দেয়া যুবলীগের এক নেতাকে গ্রামবাসী আটক করে পুলিশে দিলেও পরে থানা থেকে তাকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে ধামরাই থানা হেফাজত থেকে আটক ওই ইউনিয়ন যুবলীগ নেতাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এর আগে উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বারবাড়িয়া গ্রামে এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

ধর্ষককে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করা ওই নেতার নাম সাইফুল শিকদার। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটির সদস্য এবং গাংগুটিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ হাতকোড়া গ্রামের নাসির উদ্দিন সিকদারের ছেলে।

ধর্ষিতার স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার রাতে বারবাড়ীয়ার একটি বাড়িতে গিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ চেষ্টার সময় হাতকোড়া গ্রামের বাসিন্দা বিজিবি সদস্য রুবেল হোসেন এলাকাবাসীর হাতে আটক হন। এসময় যুবলীগ নেতা সাইফুল এসে রুবেলকে সেখান থেকে ছাড়িয়ে নেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকাবাসী সাইফুলকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

পরে এ ঘটনায় ওই বিজিবি সদস্যকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হলেও ছেড়ে দেয়া হয় সহযোগী যুবলীগ নেতা সাইফুল শিকদারকে।

ধর্ষিতার নানি অভিযোগ করে বলেন, রুবেল নামে ওই বিজিবি সদস্য তার নাতনির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় এলাকাবাসী রুবেলকে আটক করলেও ওই সময় সাইফুল এসে তাকে ভাগিয়ে দেয়। পরে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সাইফুলকে আটক করে পুলিশে দেয়। কিন্তু পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে গেলেও পরে তাকে ছেড়ে দেয়। ধর্ষকের এ সহযোগীরও বিচার চাই আমরা।

এ বিষয়ে ধামরাই থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিপন আহমেদ বলেন, ওই তরুণীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় বিজিবি সদস্য রুবেলকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

তবে ধর্ষণের সহযোগিতকারীকে যুবলীগ নেতা সাইফুলকে আটক করার পরও কেন ছাড়া হলো এ ব্যাপারে তিনি বলেন, এ ঘটনায় সাইফুল সম্পৃক্ত নয় বলে ভুক্তভোগী ধর্ষিতা লিখিত দিয়েছেন। তাই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com