বগুড়ায় মদ খেয়ে পুলিশকে পেটাল যুবলীগের দুই নেতা

0

বগুড়ার নন্দীগ্রামে ডিএসবি পুলিশের কনস্টেবল আবদুল মতিনকে মদ্যপ অবস্থায় মারধর করার অভিযোগে উপজেলা যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রোববার রাতে নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনায় উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান দুলাল চন্দ্র মহন্তসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

নন্দীগ্রাম থানার ওসি শওকত কবির এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতার দু’জন হলেন বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা সদরের দক্ষিণপাড়ার মৃত সামসুর রহমানের ছেলে, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন সুমন ও হাটডুমা গ্রামের মৃত উপেন্দ্র চন্দ্রের ছেলে, উপজেলা যুবলীগের সদস্য প্রশান্ত কুমার।

পুলিশ জানায়, ডিস্ট্রিক স্পেশাল ব্রাঞ্চের (ডিএসবি) কনস্টেবল আবদুল মতিন রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান দুলাল চন্দ্র মহন্ত ও তার সঙ্গীরা মদ্যপ অবস্থায় সেখানে আসেন। তারা কনস্টেবল মতিনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

কনস্টেবল মতিন নন্দীগ্রাম থানায় দুলাল চন্দ্র মহন্ত, আকতার হোসেন সুমন, প্রশান্ত কুমারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর পরপরই পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আকতার হোসেন সুমন ও প্রশান্ত কুমারকে গ্রেফতার করে। দুলাল আত্মগোপন করায় তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

এ প্রসঙ্গে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু বলেন, দুলাল চন্দ্র মহন্ত এর আগে গাঁজাসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

তবে স্থানীয়রা জানান, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান দুলালকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার বা তাকে ফিরিয়ে নেয়ার কোনো প্রমাণ নেই। তিনি এখনও উপজেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

সোমবার দুপুরে নন্দীগ্রাম থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আনিসুর রহমান জানান, কনস্টেবলকে মারপিটের মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ভাইস-চেয়ারম্যান দুলাল ও অপর তিনজনকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

দুলালের বিরুদ্ধে আরও একটি মাদকের মামলা রয়েছে বলে তিনি জানান।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com