‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মানুষকে সুরক্ষা দিতে সরকারকে ভর্তুকি দেওয়া বেশি প্রয়োজন ছিল’
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিকে ‘অনভিপ্রেত ও অবিবেচনাপ্রসূত’ বলে উল্লেখ করেছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির সংকট নিয়ে বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) এক অনলাইন আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি। আলাপচারিতার শিরোনাম ছিল ‘বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় একটি উত্তরণকালীন নীতি সমঝোতা খসড়া’।
আলোচনায় এই অর্থনীতিবিদ জানান, দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ে নীতিনির্ধারকরা বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলছেন।
তিনি বলেন, কেউ বলছেন, দুই মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ঠিক হয়ে যাবে। কেউ বলছেন ২০২৪ সালের আগে ঠিক হবে না। আবার কারও বক্তব্য, আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নেবে না, কেউ বলছেন নেবে। এসব কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছে, নীতি প্রণয়নের মধ্যে রাজনীতিবিদরা নেই। আমলানির্ভর নীতি প্রণয়ন হচ্ছে।
আর্থিক খাতের দুর্বলতা অর্থনীতির প্রধান খলনায়ক দাবি করে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আর্থিক খাতের দীর্ঘদিনের জমে থাকা বিষয় সংস্কার হয়নি। আর্থিক খাতের অযত্নের কারণে আমরা এগোতে পারছি না। এ খাতের সংকট মোকাবিলায় সরকারকে ভর্তুকি কমাতে হচ্ছে। অথচ এখন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে গরিব মানুষের সুরক্ষা দিতে ভর্তুকি দেওয়া বেশি প্রয়োজন ছিল।