নির্বাচন একতরফা, তাবিথের ওপর হামলা ন্যক্কারজনক
বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, তাবিথ আউয়ালের মিছিলে হামলার ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। নির্বাচন কমিশন শুরু থেকেই নির্বাচনী পরিবেশ এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড যেটাকে বলে সেটা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, সরকার দলীয় এমপিরা আইন ভঙ্গ করে নির্বাচনে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে আলাপ করেছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোন অ্যাকশন নিতে আমরা দেখিনি। নির্বাচন কমিশনার মাহাবুব তালুকদার বারবারই বলছেন বিষয়গুলো। এতো আচারণ বিধি ভঙ্গ হচ্ছে। শত শত লোক নিয়ে মিছিল করছে।
আচরণ বিধিতে যা আছে তার কিছুই মানা হচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে সরকারি দলের কর্মীরা যখন এ কাজ গুলো করছে তখন ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাক দর্শকের মত দেখছেন। কোন অ্যাকশন নিতে দেখা যাচ্ছে না। আমিতো শুরু থেকেই বলছি নির্বাচন একতরফা। ২০১৪ সালের পর থেকে সমস্ত নির্বাচনে একতরফাভাবে ব্যালট বাক্স দখল করা হয়েছে। এই নির্বাচনও তার কোন ব্যতিক্রম নয়। আমরা দেখেছি সারা শহর জুড়ে যারা নৌকার প্রার্থী ,সরকারি দলের প্রার্থী তাদের পোস্টার। বিরোধীদলের প্রার্থীরা তাদের পোস্টার লাগাতে পারছে না। বিরোধী দলের কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। যারা মিছিলে যাচ্ছে তাদের মিছিল থেকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। না হলে মিছিলের ওপর হামলা হচ্ছে। প্রার্থীদের প্রচারণায় বাধা দেয়া হচ্ছে। কোনভাবেই নূন্যতম যে ভোটের পরিবেশ সেটা সরকার রাখতে দিচ্ছেনা। এটার মূল প্রভাবটা পড়বে ভোটারদের ওপর।
ভোটাররা অলরেডি ভোট কেন্দ্র বিমুখ। চট্টগ্রাম-৮ এর নির্বাচনে মাত্র ২২ দশমিক ৯৪ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে। সেখানে হামলা করে ভীতির পরিবেশ তৈরি করলে ভোটাররা ভোট দিতে যাবেনা। ভোটাররা এমনিতেই মনে করেন তাদের ভোট দেয়া বা না দেয়ায় কিছু যায়-আসেনা। তাদের ভোটের কোন প্রভাব ফলাফলে থাকেনা। আগে থেকে প্রার্থী যারা নৌকা পায়, যারা সরকারি দলের প্রার্থী হয় তারা অটোমেটিকলি জিতে আসে। পুলিশ-প্রশাসন তাদের রাতের ব্যালট দিয়ে সিল দিয়ে জিতিয়ে দেয়। সেরকম জায়গায় ভোটাররা এমনিতেই ভোট দিতে যেতে চায়না। যখন এরকম হামলা হয়, এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে তখন ভোটাররা আরো বেশি ভোট কেন্দ্র থেকে দূরে সরে যায়।
নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা পরিবর্তনে বিশ^াস করি। আমরা তো কোন আন্ডারগ্রাউন্ড পার্টি না যে বিপ্লব করবো। এই নির্বাচনটা আমাদের আন্দোলনের একটা অংশ। আমাদের মিছিল করতে দিচ্ছে না। আমাদের সভা করতে দিচ্ছে না। আমাদের সংগঠনগুলোকে শক্তিশালী করতে যে সমাবেশগুলো আছে সেগুলো তারা করতে দিচ্ছেনা। ঘরোয়া মিটিং এ তারা বাধা দেয়। এর মধ্য দিয়েও আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। সংগঠনটাকে গোছাতে হচ্ছে। একটা নির্বাচন আসলে কর্মীরা চাঙ্গা হয়। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগটা আরো বেশি হয় এই সময়টাতে। এ সুযোগটাও আমরা কাজে লাগাতে চাচ্ছি। আমরা যতটুকু স্পেস পাচ্ছি, সামান্য স্পেসটাও আমরা কাজে লাগানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।