রোগীরা হাসপাতালের অস্থায়ী বাসিন্দা হলেও কুকুর-বিড়ালগুলো যেন স্থায়ীভাবেই বসবাস করছে
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগীদের সাথে বসবাস শুরু করেছে কুকুর-বিড়াল। রোগীরা হাসপাতালের অস্থায়ী বাসিন্দা হলেও কুকুর-বিড়ালগুলো যেন স্থায়ীভাবেই বসবাস করছে। হাসপাতালের করিডোর ও বারান্দাগুলোতে অবাধেই ঘোরাফেরা এদের। সিঁড়ির কোনায়, বারান্দা ও করিডোরের ময়লা ফেলার ডাস্টবিনের আশপাশে পড়ে থাকা রোগীদের খাবারের বর্জ্য খেতে দেখা যায় কুকুর-বিড়ালদের।
হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের পুরাতন ভবনের নিচতলায় আবাসিক চিকিৎসকের অফিস, বহির্বিভাগ, মেডিসিন ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডসহ স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলোর করিডোরে স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করছে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত কুকুরগুলো। এসব কেন্দ্রের সামনে রোগী ওয়ার্ডের যাতায়াতের রাস্তায় সারিবদ্ধভাবে কুকুরগুলো ঘুমিয়েও থাকছে। বিড়ালগুলো ওয়ার্ডের এ পাশ থেকে ওপাশ দৌড়াচ্ছে, ওয়ার্ডের রোগীদের খাবারে মুখ দিচ্ছে। এদিকে হাসপাতালের ওয়ার্ডের বারান্দায় কুকুর ও বিড়ালের অবাধ বিচরণের ফলে রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীন ভূমিকায় চিকিৎসাধীন রোগীরা রয়েছেন চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। শুধু হাসপাতালের নিচতলায় নয়, দোতলার সার্জারি ওয়ার্ডের বারান্দাতেও কয়েকটি কুকুরকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখা যায়।
হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বজন বলেন, হাসপাতালে রোগীরা আসে চিকিৎসার জন্য। কিন্তু হাসপাতালের পরিবেশ অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা হলে রোগীরা এক রোগ থেকে অন্য রোগে আক্রান্ত হয়। কারণ কুকুর জলাতঙ্ক রোগ বহন করে। সেই কুকুরই হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে থাকছে। হাসপাতালটি কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত, তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। হাসপাতালের ভেতরে অনেকগুলো অসুস্থ কুকুর ঘোরাফেরা করছে, রোগীদের আশপাশে এসে শুয়ে পড়ছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরেক রোগীকে দেখতে আসা আমিরুল ইসলাম নামের এক যুবক বলেন, কুকুরগুলো দেখে মনে হচ্ছে হাসপাতালের বর্জ্য থেকে খাবার খাওয়ার ফলে এরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। বেশির ভাগ কুকুরের গায়ের লোম উঠে গেছে। হাসপাতালের মতো স্পর্শকাতর জায়গাতে কুকুরের অবাধ চলাচল কখনোই কাম্য নয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এদিকে নজর দিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সচেতন হবে বলে জানান তিনি।