বাবা-ছেলেকে ডেকে নিয়ে স্টাম্প দিয়ে বেধড়ক পেটালেন নারী কাউন্সিলর
ঢাকার সাভারের ছায়াবিথী মহল্লার প্রিন্টিং ব্যবসায়ী বাবা-ছেলেকে কাউন্সিলর অফিসে ডেকে নিয়ে স্টাম্প দিয়ে বেধড়ক মারপিট করেছেন সাভার পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সানজিদা শারমিন মুক্তা ও তার ভাতিজা।
শনিবার সকালে সাভারের ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অফিসে ডেকে এনে তাদের মারধর করা হয়। স্থানীয়রা দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. নুরুজ্জামান সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আহত হলেন- মো. নুরুজ্জামান (৫৬) ও তার ছেলে ইসমাইল হোসেন রবিন (৩১)। তারা দুজনেই প্রিন্টিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সাভার বাজার রোডে রবিন আর্ট এবং একতা সাইন অ্যান্ড প্রিন্টিং প্রেস নামে তাদের দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন- সাদ্দাম হোসেন (৩৪), রিদ্দাম (২৮), হিদ্দাম হোসেন (২৩), সোনামিয়া (৩৫) ও কাউন্সিলর সানজিদা শারমিন মুক্তা (৩৮)। এরা সবাই নারী কাউন্সিলরের ভাতিজা।
এর আগে গত বুধবার তুচ্ছ কারণে রবিউল নামে এক লোককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে রিদ্দাম, হিদ্দাম হোসেন ও সোনামিয়া। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কাউন্সিলর মুক্তা পাশ করার পর থেকেই এলাকার বিভিন্ন মানুষের ওপর নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগে থেকেই তার একাধিক কিশোর গ্যাং রয়েছে। তিনি এলাকার উঠতি বয়সী যুবকদের দিয়ে মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণসহ অসহায় মানুষকে বিপদে ফেলে তাদের বাড়িঘর ও জমিজমা দখলের পাঁয়তারা চালিয়ে আসছেন বলেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
আহত ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান অভিযোগ করেন, কাউন্সিলর মুক্তা ও তার ভাতিজারা আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে নিজ বাড়িতে আটকে রেখে মারধর করেন। পরে তারা আমাকে কাউন্সিলরের বাড়ির দোতলায় ডেকে নিয়ে যান। এ সময় তার ভাতিজা সাদ্দাম হোসেন, রিদ্দাম, হিদ্দাম হোসেন, সোনামিয়া ও মুক্তা মিলে আমাকে ও আমার ছেলেকে স্টাম্প দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা আমার মাথায় স্টাম্প দিয়ে আঘাত করেন। স্টাম্পের আঘাতে আমি ফ্লোরে লুটিয়ে পড়ি।
স্থানীয়রা বলেন, কাউন্সিলরের অফিস থেকে চিৎকারের আওয়াজ পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তাদের গুরুতর অবস্থায় দেখতে পাই। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি।