মাদক সাম্রাজ্যের ডন ‘রূপা’ গ্রেফতার
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, নীলফামারীর ডোমারে অভিযানে বেড়িয়ে আসে সহিদা বেগম ওরফে রুপা (৩৮) এর ভয়ংকর কুৎসিত চেহারা । আজ মঙ্গলবার (২ আগস্ট) একটি বিশেষ অভিযানে ১০ বোতল ফেন্সিডিল, ৭৫ গ্রাম হিরোইন, ৫৮টি ইয়াবা ও নগদ দুই লক্ষ ৩২ হাজার টাকা পাওয়া গেছে তার কাছে।
নীলফামারীতে মাদকের ডন হিসেবে পরিচিত। কেউ কেউ বলেন গডফাদার। তার হাতেই নীলফামারীর মাদক সাম্রাজ্যের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ। ওয়ার্ড, থানা বা মহানগর নেতা থেকে খোদ জনপ্রতিনিধি পর্যন্ত। সম্পর্ক সিআইপি খেতাব পাওয়া ধনাঢ্য ব্যবসায়ী থেকে বিভিন্ন কর্মকর্তারাও।
স্থানীয়রা জানান, তার ইশারার অনেক কিছুই হয়। নীলফামারী ডোমারে ইয়াবা আগ্রাসন বন্ধের জন্য তার ইচ্ছাশক্তিই যথেষ্ট। দানবীর খেতাব পাওয়ায় রূপার প্রভাবও এলাকায় অন্য সবার চেয়ে কয়েক গুন বেশি। বিভিন্ন ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় থাকা রূপার বিরুদ্ধে কথা বললে আতংকের মধ্যে থাকতে হয় এলাকাবাসীকে। দীর্ঘদিন ধরে নিজের প্রভাব কাটিয়ে মাদক সম্রাট সহিদা বেগম ওরফে রূপা মুখোশধারী নিজের রমরমা ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে গেলে তা ছিল লোকচক্ষুর অন্তরালে।
জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ইয়াবা আনা-নেওয়া বা বিক্রির কাজে রূপা গরীব-অসহায় নারীদের টাকার লোভ দেখিয়ে ব্যবহার করে আসছে বলেই সে (রূপা) এতোদিন পর্দার আড়ালেই থেকে যায়। গত বছরের এপ্রিল মাসে ইয়াবা কেলেঙ্কারি নিয়ে দুই মাদকসেবির হাতে খুন হন তার স্বামী ডোমারের মাদক সম্রাট মিজানুর রহমান। এ নিয়ে ডোমার থানায় আরোও একটি মামলা ও এছাড়া তার নামে রয়েছে পনেরোটি অধিক জিডি দায়ের করা হয়। আবার জনশ্রুতি রয়েছে মাদকের জগতে সে ইয়াবা রূপা নামে পরিচিত। আর তার (রূপার) নিয়ন্ত্রনে নারী-পুরুষের সম্বন্বয়ে গঠিত মাদকের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট আছে বলেও জানা গেছে।