হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তরুণীকে হত্যা, স্বামী-সতিন আটক
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে পারিবারিক কলহের জেরে প্রথম স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিস্তার গেট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় স্বামী কবির মিয়া ও সতিন ফাতেমা আক্তারকে আটক করে পুলিশ।
নিহত মেঘলা আক্তার (২০) ঢাকার তেজগাঁও নাখালপাড়া এলাকার মো. অপু মিয়ার মেয়ে। তার স্বামীর বাড়ি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার সুধী গ্রামে। কবির দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে টঙ্গীর তিস্তারগেট এলাকার মোহাম্মদ আলমের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করতো।
টঙ্গী পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ সজল বলেন, দুদিন আগে প্রথম স্ত্রী মেঘলা তার ছয় মাসের মেয়ে তাবাসসুমকে নিয়ে স্বামীর কাছে বেড়াতে আসেন। রোববার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে প্রথম স্ত্রী মেঘলার সঙ্গে কবির হোসেনের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে কবির ঘরে থাকা হাতুড়ি দিয়ে মেঘলার মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। সোমবার ভোর ৬টার দিকে বাড়ির মালিক পাপিয়া আক্তার খোঁজ নিতে গেলে রুমের ভেতরে ঢুকতে না দেওয়ায় সন্দেহ হলে আশপাশের লোকজনকে খবর দেয়। পরে আশপাশের লোকজনের সহায়তায় ঘরে প্রবেশ করে অচেতন অবস্থায় মেঘলাকে পড়ে থাকতে দেখেন। স্থানীয়রা বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দ্বিতীয় স্ত্রী ফাতেমাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
এসআই আরও বলেন, সকালে মেঘলার স্বামী নিজে টঙ্গী পূর্ব থানায় এসে জানান তার প্রথম স্ত্রী নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রুমের ভেতর অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে মেঘলার মরদেহ এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কবির হোসেন হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক স্বামী ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী ফাতেমাকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।