কুড়িগ্রামে বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র-ধরলার পানি, নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। হু-হু করে বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি। গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৫৫ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার এবং ধরলায় সেতু পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেতে পারে। বন্যায় এখন পর্যন্ত দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জেলায় পানিবন্দী মানুষের সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ। বন্যা কবলিতদের মাঝে শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি আর সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এছাড়াও বানভাসিদের মধ্যে পানিবাহিত চর্ম, ডায়রিয়া ও জ্বর দেখা দিয়েছে।
তবে বন্যা কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব প্রাপ্ত জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, জেলার ২৮৪টি গ্রামের নিম্নাঞ্চলের ২৭ হাজার ১৯৭টি পরিবারের ১ লাখ ৮ হাজার ৭৮৮ জন পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
খামারবাড়ীর উপপরিচালক মো: আব্দুর রশীদ জানান, বন্যায় ১৩ হাজার ৭১১ হেক্টর ফসল নিমজ্জিত হয়েছে।
জেলা মৎস্য অফিসার কালিপদ রায় জানান, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সর্বশেষ এক হাজার ১৬৩ জন চাষির এক হাজার ২৫৭টি পুকুর/দীঘি/খামার ভেসে গিয়ে ১৭৮ কোটি ৬২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে শনিবার দুপুরে উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের যমুনা সরকারপাড়া গ্রামের মাঈদুল ইসলামের কন্যা মাকসুদা জান্নাত (১১) এবং রোববার দুপুরে রৌমারী উপজেলার যাদুর চর ইউনিয়নের দক্ষিণ কাঁন্দা পাড়া গ্রামের খলিলুর রহমানের দেড় বছরের ছেলে সন্তান সিয়াম বন্যার পানিতে পড়ে মারা গেছে বলে সিভিল সার্জন ডা: মো: মনজুর এ মোর্শেদ জানান।