সিলেটে কমছে বৃষ্টি, দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র
টানা বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা উপদ্রুত সিলেটে গত শনিবার ওই জেলায় এ বছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে। এরপর বৃষ্টির পরিমাণ কমেছে। আজ মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদপ্তর আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলেছে, সিলেটে বৃষ্টি হলেও এর পরিমাণ কমবে।
গত কদিনের বন্যার পানি যেন লন্ডভন্ড করে দিয়ে গেছে সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রায় সব এলাকাকে। তবে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমায় ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্রও। রাস্তায় উপড়ে পড়ে আছে গাছ। উল্টে আছে ট্রাক। বিকল পড়ে আছে অসংখ্য বাস আর সিএনজিচালিত অটোরিকশা। পানিতে ভাসছে গরু, ছাগল, বিড়াল, ইঁদুরের মরদেহ। তাতে ঠোকরাচ্ছে কিছু কাক, শকুন। হেলে মাটির সঙ্গে মিশে আছে খেতের পচা সবজি। বিধ্বস্ত হয়েছে বাঁশ-মাটির ঘর, দুমড়েমুচড়ে আছে টিনের বেড়া। দেবে গেছে রাস্তা।
উজানে ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ১৫ থেকে ১৭ জুন এই তিন দিন বৃষ্টি হয়েছে ২ হাজার ৪৫৭ দশমিক ২ মিলিমিটার। তিন দিনের সমন্বিত বৃষ্টির হিসাবে এবারকার বৃষ্টি তৃতীয় সর্বোচ্চ। উজানের এই পানি নেমে আসে সিলেট ও সুনামগঞ্জে। সঙ্গে ছিল মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে স্থানীয় বৃষ্টি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, গত শনিবার সিলেটে ৩০৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এটা ছিল এ বছরের রেকর্ড বৃষ্টি। এর আগের দিন, অর্থাৎ শুক্রবার সিলেটে বৃষ্টি হয় ১০৯ মিলিমিটার।
শাহীনুল ইসলাম জানান, গত রবি ও সোমবার দুদিনই ২২ মিলিমিটার করে বৃষ্টি হয় সিলেটে। তিনি বলেন, আজও বৃষ্টি হবে সিলেটে, তবে এর মাত্রা কমবে।
সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যার পাঁচ দিন কেটে গেছে। ঘরবাড়ি থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। অনেক রাস্তাঘাট থেকে পানি নেমে গেছে।
গত কয়েক দিন যেখানে নৌকার অভাবে কেউ যেতে পারেননি, এখন সড়ক যোগাযোগের কিছুটা উন্নতি হওয়ায় সেখানে যাওয়া যাচ্ছে। এরপরও কিছু জায়গায় বানভাসি মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করছেন।