কোথায়, কিভাবে আছেন ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ দাউদ ইব্রাহিম
৯৩ মুম্বাই বিস্ফোরণের মূলচক্রী তথা আন্ডারওয়ার্ল্ড মোস্ট ওয়ান্টেড ডন দাউদ ইব্রাহিম এই মুহূর্তে কোথায়? বেশ কিছুদিন আগে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছিলো ৩ বছর ধরে ‘রেডিও অ্যাক্টিভিটি’ র বাইরে। অর্থাৎ ফোনে কারো সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না দাউদ ইব্রাহিম। এই আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনকে খুঁজে বের করতে নিয়ে রীতিমতো হয়রান ভারতীয় গোয়েন্দারা।
এদিকে শুরু থেকে ভারতীয় গোয়েন্দা রিপোর্ট বলেছে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ছত্রছায়ায় আছে ভারতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ দাউদ ইব্রাহিম। এবার এই বক্তব্যের আরও শক্ত সাক্ষী পেলো ভারত।
সম্প্রতি মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে গ্রেফতার হয়েছে এজাজ লাকড়াওয়ালা। দাউদ ইব্রাহিম আর ছোটা রাজনের ঘনিষ্ঠ ছিল এই ইজাজ। সেই জেরায় জানিয়েছে যে, পাকিস্তানের করাচিতেই আছে দাউদ ইব্রাহিম। তাকে ভারতের পাটনা থেকে মুম্বাইতে এনে জেরা করা হয়েছে।
সে জানিয়েছে যে পাকিস্তানের আইএসআই-এর ঘেরাটোপে আছে দাউদ ইব্রাহিম। সেরা কমান্ডোদের দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে দাউদকে। ছোটা শাকিলকেও নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আগেই এই লাকড়াওয়ালা জেরায় জানিয়েছিল যে, মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের শরীরের একাধিক অংশে পচন ধরতে শুরু করেছে।
এই মুহূর্তে পাকিস্তানেই রয়েছে মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম। পাকিস্তান থেকেই দাউদ তার ডি-কোম্পানি চালাচ্ছে। পাকিস্তানে দাউদের সঙ্গে একাধিকবার দেখা করেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে ধৃত ইজাজ লাকড়েওয়ালা। তবে শারীরিকভাবে নাকি দাউদ এখন ভীষণ অসুস্থ। মাফিয়া ডনের শরীরের একাধিক অংশে নাকি পচন ধরতে শুরু করেছে। মুম্বাই পুলিশের জেরায় এমনই জানিয়েছে দাউদ ঘনিষ্ঠ ইজাজ।
পুলিশকে ইজাজ আরও জানায়, পাকিস্তানেই নিয়মিত চিকিৎসা করানো হচ্ছে দাউদের। শরীরের পচন সারাতে নিয়মিত কড়া ডোজের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে মাফিয়া ডনকে। এখনও নাকি নিয়মিত হজ-যাত্রায় যায় দাউদ ইব্রাহিম।
এদিকে, ইজাজকে জেরা করে দাউদ ইব্রাহিম সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছে মুম্বাই পুলিশ। মুম্বাই পুলিশের দাবি, শুধু দাউদই নয়, ভারতের কোথায় কোথায় দাউদের নেটওয়ার্ক এখনও সক্রিয় আছে, ইজাজকে জেরায় সেই সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলবে।