দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে বিদ্রোহীদের কাজ করার আহবান মোশাররফের
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহবান জানান। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সিনিয়র সদস্য বলেন, বিএনপির যে সকল নেতাকর্মী কাউন্সিলর পদে দাঁড়িয়েছে কিন্তু বিএনপি’র সমর্থনে নয়, তাদেরকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের হয়ে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, এ নির্বাচন আমাদের আন্দোলনের একটি অংশ তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে আনতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। যার কারণেই বিরোধী প্রার্থী না থেকে দল যাকে সমর্থন দিয়েছেন তার হয়ে কাজ করুন এবং ধানের শীষের কাজ করুন।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, জনগণ আমাদের দুই প্রার্থীকে সাপোর্ট দিচ্ছে। যার কারণে আওয়ামী লীগ গণসংযোগে বাধা সৃষ্টি করছে। যাতে জনগণ ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে না যায় সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, সরকার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেশিনের মাধ্যমে ভোট ডাকাতি করার জন্য ইভিএম ব্যবস্থা চালু করেছে। আমরা নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে বলেছি যদি সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন দেন, ইভিএমের মাধ্যমে নয়। কারণ দেশের জনগণ নিজের হাত দিয়ে ব্যালট পেপারে সিল মেরে ভোট দিতে চায়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এখনো সময় আছে। ইভিএম বাদ দিয়ে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। বারবার যদি জনগণের অধিকার হরণ করা হয়। তাহলে জনগণ কিন্তু গণআন্দোলন শুরু করতে বাধ্য হবে। আবারো ৮৯ এর মত গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের উত্তর ও দক্ষিণ দুই মেয়র প্রার্থী যেখানেই গণসংযোগে যাচ্ছেন সেখানেই জনস্রোতে পরিণত হচ্ছে। কারণ জনগণ ধানের শীষে ভোট দিতে চায় এই সরকারকে আর চায় না। তাই ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণ পাগল হয়ে আছে। আমাদের এই দুই প্রার্থী ইতিমধ্যে জনগণের মন জয় করে নিয়েছে। এখন শুধু ভোটের জয়ের প্রত্যাশা। জনগণ যদি ভোট দিতে পারে তাহলে আমরাই জয় পাবো। জনগণ যখন আমাদের দুই প্রার্থী কে সাপোর্ট দিচ্ছে। তখন আওয়ামী লীগ আমাদের দুই প্রার্থীর গণসংযোগে বাধা সৃষ্টি করছে। যাতে জনগণ ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে না যায় সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবুল হাশেম রানার সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রিনা খান ও জাসাসের নেতৃবৃন্দরা।