রাশিয়ার হুমকি মোকাবিলায় ইউরোপে এক লাখ সেনা রাখবে যুক্তরাষ্ট্র
ভবিষ্যতের হুমকি মোকাবিলায় ইউরোপে এক লাখ সেনা রেখে দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। ধারণা করা হচ্ছে সুইডেন-ফিনল্যান্ডসহ ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোকে রক্ষা করতেই এমন পদক্ষেপ নেবে দেশটি। মার্কিন একাধিক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শনিবার (২১ মে) সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
কর্মকর্তারা জানান, যদি অঞ্চলটিতে ন্যাটো আরও বেশি সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করে তাহলে সাময়িকভাবে সেনার সংখ্যাও বাড়তে পারে। তাছাড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পরিবর্তন এলে যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত ঘাঁটিও স্থাপন করতে পারে।
কর্মকর্তারা আরও বলেন, বৃহস্পতিবার ন্যাটোর সামরিক প্রধানদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে ও পরিকল্পনাটি বিবেচনাধীন। জুনে ন্যাটোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠকের কথা রয়েছে। এতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ ন্যাটোর নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের আগে থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপে তার সামগ্রিক শক্তির অবস্থান প্রায় ৬০ হাজার থেকে বাড়িয়ে এখন প্রায় এক লাখ করেছে। সামরিক জোট ন্যাটো ও রাশিয়ার অগ্রগতি রুখতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মূলত ইউক্রেনে হামলার পরই রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। হামলার আগে ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। এ বিষয়ে বারবার সতর্ক করে রাশিয়া। এখন সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ইস্যুতে একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এদিকে রুশ হুমকি উপেক্ষা করে ন্যাটোতে যোগ দিতে আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। ফিনল্যান্ডের সংসদ ভোটের মাধ্যমে এ ব্যাপারে নিরঙ্কুশ সমর্থন দিয়েছে। সুইডেনের সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতারাও আবেদনটির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।
ন্যাটোতে যোগ দেওয়া নিয়ে ফিনল্যান্ডকে সতর্ক করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তোকে পুতিন বলেন, বর্তমানে ফিনল্যান্ডের নিরাপত্তার জন্য কোনো হুমকি নেই। তবে এ অবস্থায় ফিনল্যান্ড তার নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সরে আসলে তা হবে একটি ‘ভুল’ সিদ্ধান্ত।