ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়ায় দুই শিক্ষকের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ
ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগে পাবনার সাঁথিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিজয় কুমার দেবনাথ ও সহকারী শিক্ষক বাবুল পালের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে বিক্ষোভের অংশ হিসেবে সাঁথিয়া উপজেলা সড়ক অবরোধ করে রাখে তারা। পরে আলাদা আলাদা তদন্ত কমিটি গঠনে শিক্ষার্থীরা শান্ত হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা জানায়, হেড স্যারের কাছে প্রাইভেট না পড়লে খারাপ আচরণ করে, ভয়ভীতি দেখায়। ১০ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব দেন প্রধান শিক্ষক। এছাড়াও সহকারী শিক্ষক বাবুল পাল অপর এক ছাত্রীকে একই প্রস্তাব দেন। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে গত ১৭ মে মঙ্গলবার তারা বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়। কিন্তু কয়েক দিন অতিবাহিত হলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না তারা। তাই শনিবার সকালে তারা ওই দুই শিক্ষকের অপসারণ ও পদচ্যুতির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে।
এ সময় সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ উপস্থিত হয়ে উপরোক্ত দুটি বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনিরুজ্জামানকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট পৃথক পৃথক কমিটি গঠন করে দেন। একইসাথে আগামী তিন দিনের মধ্যে কমিটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবে- এ আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে।
বিক্ষোভে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আ: কাদের বিশ্বাস অভিযুক্ত শিক্ষকদের পক্ষ নেয়ায় শিক্ষার্থীরা ইউএনও’র কাছে তদন্ত কমিটিতে তাকে না রাখার জোর দাবি জানায়।
প্রধান শিক্ষক বিজয় কুমার দেবনাথ মোবাইল ফোনে ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না’ বলেই ফোন কেটে দেন। বাবুল পালকে বার বার ফোন দিলেও রিসিভ করেননি তিনি।
স্কুলটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম জামাল আহমেদ জানান, তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পেয়েছি। কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।