জনগণের ৩০০ কোটি টাকা ডাকাতি করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পেছনের খুঁটির জোর
জনগণের ৩০০ কোটি টাকা ডাকাতি করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পেছনের খুঁটির জোর।
৩০০ কোটি টাকা ভাগাভাগির পেছনে এরাই জড়িত। তাদের মদদে লুট হয় জনগণের মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংকের ৩০০ কোটি টাকা।
কানাডায় পালিয়ে যাওয়ার পূর্বে বিতর্কিত বিচারপতি মানিক আদালতের সাথে আঁতাতের মাধ্যমে মধ্যস্ততা করে। জামিনের ব্যবস্থা করে। আওয়ামীলীগের ওয়াবদুল কাদের বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির অনুসন্ধান দলের নেতা ও দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবালকে কয়েক কোটি টাকার বিনিময়ে চুপ রাখেন। আওয়ামীলীগের ওয়াবদুল কাদের , মখা আলমগীর , বিতর্কিত বিচারপতি মানিক , আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেত্রী, দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল প্রায় ২০০ কোটি টাকা ভাগাভাগি করার পরেই নাহিদ-মিঠু দম্পতিকে আওয়ামীলীগের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে নিরাপদে কানাডায় পালিয়ে যেয়ে দেয়া হয়।
আওয়মীলীগর শীর্ষ নেত্রী সরাসরি জানিয়ে দিয়েছিলেন আগে টাকা কানাডায় জমা হবে তার পর যেন বিমান বন্দরের ফ্লাইট ক্লিয়ারেন্স হয়। সেই অনুযায়ী ওবায়দুল কাদের ও মখা আলমগীর টাকা গুলো কানাডায় পৌঁছা নিশ্চিত করেন।
আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেত্রীর পরিবারের কাছে ৮০ থেকে ৯০ কোটি টাকা ( সম্পদ ) কানাডায় দেয় গাজী বেলায়েত হোসেন মিঠু ওরফে জি বি হোসেন।
ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে নিরাপদে রাখার দায়িত্ব নিয়েছেন স্বয়ং আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেত্রী।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত কাহিনী দেখুন –
রাষ্ট্রায়ত্ত মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংকের ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে কানাডায় ‘আত্মগোপন’ করে আছেন স্ক্র্যাপ (জাহাজ ভাঙা) ব্যবসায়ী গাজী বেলায়েত হোসেন মিঠু ওরফে জি বি হোসেন। তিনি ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। আলোচিত এ ‘শিল্পপতি’ দুটি পাসপোর্টের অধিকারী। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রথমে তার বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়ে বিদেশে আসা-যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা দেয়। কিন্তু তিনি কানাডিয়ান পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। ওই অবস্থায় গত ১৮ এপ্রিল দুদকের সহকারী পরিচালক এ কে এম ফজলে হোসেন তার দুটি পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন। তারপরও তিনি বিদেশে চলে যেতে সমর্থ হন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির অনুসন্ধান দলের নেতা ও দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বলেন, ‘জি বি হোসেন আদালতের আদেশ নিয়ে বিদেশ যান। দুদকের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তিনি আদালতে আবেদন করেন। আদালত তাকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়। এরপর তিনি কোথায় গায়েব হয়ে গেছেন; সেটা আমরা জানতে পারিনি।
রিলায়েন্স শিপিং লাইনসের স্বত্বাধিকারী জনৈক আসিফ ইকবাল ২০১১ সালের ৪ ডিসেম্বর বেসিক ব্যাংকের দিলকুশা শাখায় একটি চলতি হিসাব খোলেন। যার শনাক্তকারী ছিল নাহিদ এন্টারপ্রাইজ নামের এক প্রতিষ্ঠান। শনাক্তকারী এ প্রতিষ্ঠানটি অস্তিত্বহীন ও হিসাব পরিচালনাকারী ভুয়া। বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ২০১২ সালে ২ ফেব্রুয়ারি এই হিসাব পরিচালনাকারীকে জাহাজ কিনতে ১৬ কোটি ১২ লাখ টাকার ঋণ দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ‘অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে জাহাজ ক্রয় করার নিমিত্তে বের করে নিয়ে এই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়।’ ঋণ হিসাবটি পর্যালোচনা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেখেছে, এর থেকে ১৬ কোটি ৬ লাখ টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে বেলায়েত নেভিগেশনের হিসাবে জমা হয়েছে। বেলায়েত নেভিগেশনের মালিক বেলায়েত হোসেন আসিফ ইকবালের আত্মীয়। বেলায়েত বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাইয়ের পদত্যাগের ঠিক এক দিন আগে কানাডায় চলে যান।