‘ক্ষমতাসীনদের কারসাজিতে ভরা মৌসুমেও চালের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে’

0

ক্ষমতাসীনদের ‘কারসাজি’তে ভরা মৌসুমেও চালের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুরে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ার কথা না। এখন তো চালের দাম কমার কথা। কারণ বোরো কাটা হচ্ছে, দাম কমে আসার কথা। সেই জায়গায় সব ধরনের চালের দাম বেড়ে গেছে। তার মানে-দেয়ার ইজ সাম প্রব্লেমস ইন প্ল্যানিং, টোটাল প্ল্যানিংয়ের মধ্যে প্রব্লেম আছে’। সমস্যা হলো, যারা যে ব্যবসা করেন, তাকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। খাদ্যের ব্যবসা যিনি করেন, তিনি এখন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকেন।’

‘ফলে ওখানে ব্যবসাটা প্রধান হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বড় বড় কৃষকেরা ধান মজুত করছে, ব্যবসায়ীরাও মজুত করছে। কারণ কিছুদিন পর ধানের দাম আরও বাড়বে এবং তাদের মুনাফা বাড়বে। এটাই কারসাজি ওদের।’

সম্প্রতি কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন ও শহিদুল ইসলাম বাবুলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সরেজমিনে হাওর এলাকা পরির্দশন করে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরতে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের এই সংবাদ সম্মেলন হয়। হাওরে বাঁধ নির্মাণে কোটি কোটি টাকা লুটপাট এবং সর্বস্বান্ত কৃষকের ক্ষতিপূরণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে ৪ দফা সুপারিশমালা উপস্থাপন করা হয়।

হাওর অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণে সরকারের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হাওরের সমস্যা আজকে নতুন না, এটা পুরনো সমস্যা। আপনি খেয়াল করে দেখবেন, প্রায় প্রতিবছরই উজান থেকে চলে আসে পানির ঢল। আমি এই সময়ে নিজেই একবার গিয়েছিলাম সুনামগঞ্জে। এ সময়ে পানি ঢল গোটা এলাকাকে প্লাবিত করে দেয়। যেখান থেকে পানি আসছে, সেখানে যদি প্রটেকশন দেওয়া যায়, বাঁধ নির্মাণ করা যায় বা রিজার্ভার নির্মাণ করা যায়, তাহলে সেখানে দুইটা কাজ হতে পারে। একটা হচ্ছে, বাড়তি পানি আটকিয়ে রাখা রায় এবং সেটাকে পরে সেচের কাজে ব্যবহার করে দুই-তিনটা ফসল করা যেতে পারে। দুর্ভাগ্যক্রমে এখন পর্যন্ত সে ধরনের কোনও কর্মসূচি বা পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কৃষিতে সরকার প্রথম দিকে একটা কার্ডের ব্যবস্থা করেছিল, সেই কার্ডের মাধ্যমে তারা সার দেবে। সেই সারও কিন্তু কৃষকের কাছে পৌঁছায় না। আপনাদের মনে থাকার কথা, ২০০৮ সালের নির্বাচনি প্রচারণা করে তখন তারা (আওয়ামী লীগ) বলেছিল, কৃষকদের বিনামূল্যে সার দেবে। ভোট নেওয়ার জন্য এসব মুখরোচক কথা তারা অনেক বলেছে। সেটা তো দূরে থাক, তিনশ’ টাকার ইউরিয়া সার এখন ১২শ’ টাকায়ও পাওয়া যায় না। এটাই সমস্যা।’

কৃষক ও কৃষি খাতের উন্নয়নে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শাসনমালে নেওয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই বলি, আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কৃষি। দুর্ভাগ্যক্রমে কৃষিকে জিয়াউর রহমান ও পরে খালেদা জিয়ার শাসনামল ছাড়া খুব বেশি গুরুত্ব দিয়ে কর্মসূচি ও কার্যক্রম কেউ গ্রহণ করেনি।’

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com