শ্রীলঙ্কার চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থা আরও সংকটাপন্ন: বিএনপি

0

রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বাংলাদেশে এক দুর্বিষহ সংকট প্রচণ্ড গতিতে ধেয়ে আসছে। বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে দেউলিয়াত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কার চেয়েও বাংলাদেশের অবস্থা আরও সংকটাপন্না। অর্থনৈতিক চরম দুর্দশাগ্রস্ত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের মানুষ নিরিবিলি কেঁদেও শান্তি পাবে না।’

সোমবার (১৬ মে) রাজধানীর নয়া পল্টনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এসব কথা বলেন।

লিখিত বক্তব্যে রিজভী উল্লেখ করেন, ‘দেশে জনগণের অবস্থা করুণ ও মর্মান্তিক। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আলোর গতিতে দৌড়াচ্ছে। গম আমদানি করা যাচ্ছে না, কারণ রফতানিকারক দেশ রফতানি বন্ধ করেছে। চালের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি এবং সয়াবিন তেল উধাও হয়ে যাওয়ার পর কয়েকদিনের মধ্যে আটা ক্রয় করা অসম্ভব হবে সাধারণ মানুষের জন্য।

তার অভিযোগ, সিন্ডিকেটের দৌরাত্মে খাদ্যপণ্যের দামের উর্ধ্বমুখী গতি থামছেই না। খাদ্যপণ্য নিয়ে সবধরনের গভীর সংকটে বাংলাদেশ।

তিনি দাবি করেন, ‘উজানের পানি এবং বাঁধ ভেঙ্গে বাংলাদেশের এক বিস্তৃত অঞ্চলের ধান তলিয়ে গেছে। কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। পুরো জাতি আকুল উৎকণ্ঠায় দিনাতিপাত করছে।’

বিএনপিনেতা রুহুল কবির বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই প্রথম টার্গেট করে সংবাদমাধ্যমকে। কারসাজি করে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসেও একই পথে হাঁটছে দলটি। গত ১৩ বছরে জনপ্রিয় সংবাদপত্র, বেসরকারি টেলিভিশন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে কয়েক হাজার সাংবাদিককে বেকারত্বের মুখে ঠেলে দিয়েছে।’

তিনি মনে করেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পরস্পর শত্রুপক্ষ। এটি স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে যেমন সত্য ছিল, এখনও একই অবস্থা বিরাজমান। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ থাকলে সংবাদপত্র থাকে না। আর সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থাকলে আওয়ামী লীগ থাকে না।

রিজভী দাবি করেন, দেশে বর্তমানে রেডিও-টিভি কিংবা সংবাদপত্র স্রেফ ‌‌‌’নিশিরাতের সরকারের’ প্রেস উইংয়ে পরিণত করার যাবতীয় কার্যক্রম চলে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com