আগামীতে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে: ফখরুল

0

জনগণের ভোটে জনপ্রতিনিধি তৈরিতে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেমন হয়েছিল তা জনগণ দেখেছে। জনগণ সেই নির্বাচন বর্জন করেছে। ১৫৪ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আর দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ায় দেশের আজ এই অবস্থা। আগামীতে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে। যাতে জনগণের ভোটে জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়ে আসতে পারেন।

গতকাল শুক্রবার বিকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের খাগড়াবাড়ি এলাকায় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সহিংসতায় নিহত ও আহতদের পরিবারের মধ্যে আর্থিক সহায়তা প্রদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এত পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করা হয়েছে যে, যা দেশের জনগণের মাথাপিছু প্রায় ৪৭২ ডলারে গিয়ে ঠেকেছে। খুব শিগগির মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে সমস্যা এত প্রকট আকার ধারণ করবে যে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসা আর মানুষের পক্ষে সম্ভব হবে না।’

এ সময় দেশের চলমান সংকটের দায়ে ও আসন্ন ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সত্য বলেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের দলের লোকগুলো দুর্নীতি করে টাকা লুট করছে। এই ধরনের লোকগুলো তাদের দলে আছে। এ দলের এমপি-মন্ত্রীরা দেশের টাকা লুট করে দেশের অর্থনীতিকে ভঙ্গুর করে দিয়েছে।

এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সমালোচনা করে তিনি বলেন, মন্ত্রী নিজেই একজন বড় ব্যবসায়ী। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে তার স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত ছিল। সরকারি মদতে আজ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করেছে। দ্রব্যমূল্য বাড়ার কারণে বাণিজ্যমন্ত্রী ও সরকারকে পদত্যাগ করা উচিত। তারা পুরোপুরিভাবে বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি, লুটপাট, স্বজনপ্রীতি ও ব্যর্থ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়ে সরকারকে পদত্যাগ করা উচিত।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com