‘আলেমদের বিরুদ্ধে কথিত ‘গণকমিশন’ ও শ্বেতপত্র’ বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কা বানানোর পাঁয়তারা’
মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে কথিত ‘গণকমিশন’ কর্তৃক এক হাজার মাদরাসা ও পরশপাথরতুল্য আলেমদের বিরুদ্ধে ২২ শ’ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্র প্রস্তুতে কোন কোন দেশবিরোধী অশুভ গোষ্ঠীর অর্থায়ন হয়েছে, দুদকের মাধ্যমে দেশবাসী তা জানতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির।
আজ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কথিত গণকমিশনের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ নিজের মায়ের সম্পদ কুক্ষিগত করা ও মানবতা বিরোধী অপরাধের প্রসিকিউটর থাকাকালীন অবৈধ অর্থের লোভে আসামির সাথে বোরকা পরে সাক্ষাৎ করার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাকে অপসারণ করা হয়েছে।
২০১২ সালে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিরুদ্ধে নিন্দা ও সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে বাংলাদেশ সংসদ সর্বসম্মত একটি প্রস্তাব পাস করে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ তাকে স্যাডিস্ট বলে অভিহিত করেছেন।
এ চেয়ারপারসন ও সদস্য সচিবের নেতৃত্বে কথিত গণকমিশন যে শ্বেতপত্র প্রস্তুত করেছে তা দেশবিরোধী দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের অর্থায়ন ছাড়া সম্ভব হতে পারে না।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সদস্য সচিব ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে নিজের গর্ভধারিণী মা সংবাদ সম্মেলন করে হুমকি-ধামকি, সম্পদ কুক্ষিগত করা ও রাত-বিরাতে অপরিচিত লোকদের বাসায় গমনকারীদের বিষয়ে অভিযোগ উত্থাপন করেন। সেই তুরিন আফরোজ ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হতে প্রভুদের খুশি করতে এই কাজ করেছেন বলে দেশবাসী মনে করে।
বিবৃতিতে শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যেই বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি এই দেশকে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মাদক ও জঙ্গী মুক্ত করতে পরশপাথর তুল্য আলেম সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন।
কথিত শ্বেতপত্রে যে শতাধিক আলেমের বিরুদ্ধে জঙ্গি অর্থায়ন ও ওয়াজের মাধ্যমে তারা ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করছেন বলা হয়েছে তা ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই নয়। কথিত কমিশনের শ্বেতপত্রে দেয়া আলেম-ওলামাদের অধিকাংশ পরশপাথর তুল্য। তাদের সংস্পর্শে এসে লাখো অপরাধপ্রবণ মানুষ সৎ মানুষে পরিণত হয়েছে। এদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরস্কারের সুপারিশ না করে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে কথিত কমিশন ও তাদের শ্বেতপত্র দেশবাসী ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে দুর্নীতিবাজরা আঙ্গুল ফুলে বটগাছ হয়ে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনৈতিকে হুমকির সম্মুখীন করেছে। তাদের বিরুদ্ধে এই কমিশন তদন্ত করে শ্বেতপত্র প্রকাশ না করে দেশের পরশপাথর তুল্য আলেম-ওলামা ও সহস্রাধিক দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কার পরিণতির দিকে ঠেলে দেয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।